পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘ-বর্মীয় s একদিন দুপুর বেলা কে তাকে বললে—তুমি যে গো-বৈদ্যেয় কথা বলছিলে, তাকে এইমাত্র দেখে এলাম, পথের ধারে পুকুয়ে লে জান করছে। " শুনে ছুটতে ছুটতে গিয়ে সে পুকুরের ধারে উপস্থিত হ’ল। দেখলে সত্যই গুণাঢ্য, পুকুরের ধারে বস্ত্ৰাদির পুটুলি নামিয়ে রেখে পুকুরে স্নান করতে নেমেছেন । সে অপেক্ষা করতে লাগিল । একটু পরে গুণাঢ্য বস্ত্র পরিবর্তন ক’রে উপরে উঠে প্ৰদ্যুম্নকে দেখে কেমন যেন হয়ে গেলেন। বললেন—তুমি এখানে ? প্ৰদ্যুম্ন বললে-আমি কেন তা বুঝতে পারেন নি ? গুণাঢ্য বললেন-তুমি এখন বলছ ব'লে নয় প্ৰদ্যুম্ন, আমি একাজ করবার পর যথেষ্ট অনুতপ্ত আছি। প্রতি রাত্রে ভয়ানক স্বপ্ন দেখি-কারা যেন বলছে, তুই যে কাজ করেছিস এর শাস্তি অনন্ত নরক। আমি এইজন্যেই আজ এক পক্ষের ওপর আমার গুরু সেই আজীবক সন্ন্যাসীর কাছে গিয়েছিলাম। তঁরই কাছে। এ বশীকরণ মন্ত্র আমি শিক্ষা করি । এর এমনি শক্তি যে মনে করলে আমি যাকে ইচ্ছা বাধতে পারি, কিন্তু আনতে পারিনে। মস্ত্রের বন্ধন-শক্তি থাকলেও আকর্ষণী শক্তি নেই। এইজন্যে আমি তোমাকে সঙ্গে নিয়েছিলুম, আমি নিজে সঙ্গীতের কিছুই জানিনে যে তা নয়, কিন্তু আমি জানতাম যে তুমি মেঘ-মল্লারে সিদ্ধ, তোমার গানে দেবী ওখানে আসবেনই, এলে তারপর মন্ত্রে বঁাধব । এর আগে আমার বিশ্বাসই ছিল না যে, এমন একটা ব্যাপার হওয়া সম্ভব। অনেকটা মন্ত্রের গুণ পরীক্ষা করবার কৌতুহলেই আমি এ कiछ कत्रि । প্ৰদ্যুম্ন বললে-এখান ? গুণাঢ্য বললেন-এখন আমায় গুরুর কাছ থেকেই আসছি। তিনি সব শুনে একটা মন্ত্র শিক্ষা দিয়েছেন, এটা পূর্ব মন্ত্রের বিরোধী শক্তি সম্পন্ন। সেই মন্ত্ৰপুত জল দেবীর গায়ে ছড়িয়ে দিলে তিনি আবার মুক্ত হবেন বটে, কিন্তু তার কোন উপায় নেই। গ্ৰন্ধ্যায় জিজ্ঞাসা করলে-উপায় নেই কেন ? i --ৰে ছিটিয়ে দেখে, সে চিরকালের জন্য পাষাণ হয়ে যাবে। আমায়।