পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

阿哥贯 শ পারমিতার মন্দিরে সেদিন যখন সাপুড়ের খেলা দেখবার জন্য অনেক ময়েপুরুষ মন্দির-প্রাঙ্গণে একত্র হয়েছিল, তারই মধ্যে প্ৰত্যুম্ন প্ৰথমে লকাঢ়কে দেখে । সেদিন ছিল জ্যৈষ্ঠ মাসের-সংক্রান্তি । চারি পাশের গ্রাম থেকে মেয়েরা সছিল দশ পারমিতার পূজা দিতে। সেই উপলক্ষে অনেক সাপুড়ে গায়ক fাজিকর মন্দিরে একত্র হয়েছিল ; অনেক মালাকর নানা রকমের সুন্দর }ািন্দর ফুলের গহনা গ'ড়ে মেয়েদের কাছে বেচবার জন্য এনেছিল। একজন শ্ৰষ্ঠ মগধ থেকে দামী রেশমী শাডি এনেছিল বেচবার জন্য। তারই দাকানে ছিল সেদিন মেয়েদের খুব ভিড়। প্ৰদ্যুম্ন শুনেছিল, জ্যৈষ্ঠ ংক্রান্তির উৎসব উপলক্ষে পারমিতার মন্দিরে একজন বিখ্যাত গায়ক ও দ্বীণ-বাজিয়ে আসবেন । সে মন্দিরে গিয়েছিল। তঁরই সন্ধানে । সমস্ত দিন {{রে খুঁজেও কিন্তু প্ৰদ্যুম্ন তঁাকে ভিডের মধ্যে থেকে বাব করতে পারেনি। সন্ধ্যার কিছু পূর্বে মন্দিরের উঠোনে একজন সাপুড়ে অদ্ভূত-অদ্ভুত সাপের খিলা দেখাতে আরম্ভ করলে, আর তারই চারিধারে অনেকগুলি কৌতুকপ্রিয়া মেয়ে জমে গেল। ক্ৰমে সেখানে খুবই ভিড হয়ে উঠল। প্ৰত্যুম্ন ও সখানে দাডিয়ে গেল বটে, কিন্তু তার মন সাপখেলার দিকে আদৌ ছিল । সে ভিড়ের মধ্যের প্রত্যেক পুরুষমানুষকে মনোযোগের সঙ্গে লক্ষ্য ছিল যদি চেহারায় ও হাবভাবে বীণ-বাজিয়ে ধরা পড়েন। অনেকক্ষণ rয় দেখবার পর তার চোখে পড়ল একজন প্রৌঢ় ভিড়ের মধ্যে তার ঈক্ষই চেয়ে দাডিয়ে আছেন, তার পরনে অতি মলিন ও জীর্ণ পরিচ্ছদ। 'জানি কেন প্ৰদু্যায়ের মনে হ’ল, এই সেই গায়ক। প্ৰদ্যুম্ন লোক ঠেলে র কাছে যাবার উদ্যোগ করতে তিনি হাত উচু ক’রে প্রত্যুম্নকে ভিড়ের ধরে যেতে ইঙ্গিত করলেন । বাইরে আসতে প্রৌঢ় তাকে জিজ্ঞাসা করলেন-আমি অবন্তীয় গাইয়ে দাস, তুমি আমাকে খুঁজছিলে না ?