পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C哥雷贯 লোকনাথ আকাশের দিকে চাইলেন, মনে মনে বললেন-হে অদৃশ্য শক্তি, আমি দার্শনিকাচাৰ্য্য লোকনাথ-অজ্ঞান, মুর্থ সাধারণ মানুষের মতন আমার যুক্তিপ্রণালী বা মানসিক ধারা নয়। আমি জানতে চাই, এই কাৰ্য্যস্বরূপ দৃশ্যমান জগৎ কোন কারণ-প্ৰসুত । সাধারণ লোকে যাকে ঈশ্বর বলে, তার মূলে কিছু আছে কি না। গ্রন্থের কথা আমি জানিনে, কারণ তার প্রমাণের SEBB DDB BD DDD DDD SS DB iBDBDD BBBD BDE DDBS YD BDBBDD LBLBBDD DBDBDSS DBBBu DD DS EBD DL DBBOD S ভোলাবার চেষ্টা কোরো না,-তাতে আমি ভুলব না । মহামণ্ডলীর মঠে প্ৰধান দার্শনিক বৈভাষিক পন্থী মাধবাচাৰ্য্য বাস করতেন। লোকনাথ তঁর কাছে গিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেন । মাধবাচাৰ্য্য বোঝাতে গিয়ে প্রথমত মুক্তি কি, মুক্তি কয়প্রকার, মুক্তির ও নির্বাণের মধ্যে প্ৰভেদ কিছু আছে কি না, প্রভৃতি এত বিস্তৃতভাবে বলতে লাগলেন ও এত শাস্ত্ৰবাক্য উদ্ধৃত ক’রে তঁর মতের পরিপোষণের চেষ্টা পেতে লাগলেন যে, লোকনাথ অত্যন্ত পাণ্ডিত্যাপ্রিয় হ’লেও তঁর মনে হতে লাগল, মুক্তির একটি স্বরূপ তিনি বুঝেছেন, সেটি সম্প্রতি মাধবাচাৰ্য্যের বাক্যজালের হাত এড়ানো। স্নান করতে করতে একদিন তঁর মনে হল, তার পিঠে যেন কিসের লেজ ঠেকছে। তিনি তাড়াতাড়ি পিছনে ফিরে জলের মধ্যে হাত দিয়ে দেখলেন, লেজ নয়, একটা জলজ গাছের পাতা গায়ে ঠেকছে। গাছটাকে তিনি টান দিয়ে উপরে তুলে ফেললেন, দেখলেন একটা শেওলা-গাছ-এ শেওলা নদীতে তিনি পূর্বে দেখেছেন, তেমন লক্ষ্য করেননি ভাল ক’রে, চোখ পড়তে দেখলেন যে, শেওলার ডাটার যে অংশটা তার গায়ে সুড়সুড়ি ক’রে ঠেকছিল, সেটা জলের নীচেকার অংশ, সে অংশের পাতাগুলি কাউপাতার মতন-কিন্তু জলের উপরের অংশের পাতাগুলি পানের মতন। জলের উপরের অংশোয় পাতা জলের উপরে ভাসে, নীচের অংশের পাতা ও রকম হ’লে স্রোতের তোড়ে ভেঙে যেত, কিন্তু চুলের গোছার মতন হওয়ায় তারা জরুলকে বাধা দেয় না, জল তাদের মধ্য দিয়ে বেশ কেটে চলে যায়, যখন