পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

as মেঘকমল্লার অধ্যাপক, রয়েল সোসাইটির ফেলো। তার ব্যাখ্যার মৌলিকতার মোহে সকলেই তার বক্তৃতায় অত্যন্ত আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ পোষাক পরা সৌম্যমূৰ্ত্তি ঋজুদেহ অধ্যাপককে সত্যভ্রষ্টা ঋষির মত BBL BDD DSDBiiBiB BBDB LLBBBD DDiD DLDDB DD BB DDDBDB বকৃতার বিষয় থেকে অনেক দূর, কলকাতার ইটপাথরের রাজ্য থেকে অনেক দূর, আমার অভাগিনী বোনটি যেখানে নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছে সেই থানে। মাঝে মাঝে হলের খোলা দুয়ার দিয়ে জ্যোৎস্না-ওঠা বাইরের দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে উমরাণীর বালিকা মুখখানি বড় বেশী ক’রে মনে পড়ছিল। আর মনে পড়ছিল তার সেই মিনতিভরা দৃষ্টি, অনেক দিন পরে বাবাকে দেখতে পাবার জন্যে তার সে করুণ আগ্ৰহ । তার আগ্রহভরা দাদা ডাকটি অনেক দিন পরে আবার বড় মনে পড়ল। ভাবলুম সত্যিই কারুর কাছ থেকে কোন স্নেহ কখন সে পায়নি। আজ বিজ্ঞানের গভীর তত্ত্বকথার রস আমার স্নায়ুমণ্ডলী বেয়ে সমস্ত দেহে যখন পুলক ছড়িয়ে দিচ্ছে, তখন আমার মনের উন্নত আনন্দের অবস্থার সঙ্গে আমাৰ অভাগিনী স্নেহ বঞ্চিত বোনটির নির্জন জীবনের অবস্থা কল্পনা ক’বে আমার মন যেন কেঁদে উঠল। বাইরের জগতে যখন এত বিচিত্র স্রোত বয়ে যাচ্ছে, তখন সে কি শুধু ঘরের কোণে ব’সে দিনরাত চোখের জলে ভাসবে ? জগতের আনন্দবাৰ্ত্তা তার কাছে বহন ক’রে নিয়ে যাবাব কি কেউ নেই ? ** বাইরে যখন এলুম। তখন গোলদীঘির জলেব ওপব চাদ উঠেছে, কিন্তু ধোয়া-ভরা আকাশের মধ্যে দিয়ে জ্যোৎস্নার শুভ্রমহিমা আত্মপ্ৰকাশ কবতে পারছে না। আমার মস্তিষ্ক তখন বক্তৃতার নেশায় ভরপুর, পুকুরের জলের ধারে সবুজ ঘাসের মাঝে মাঝে মগুমী ফুলের ক্ষেতগুলো আমাব চোখের সামনে এক নতুন মুক্তি ধরেছে। কিন্তু ত্রয়োদশীর অমন বৃষ্টি-ধোয়া যুই ফুলের মত জ্যোৎস্নাও ধোয়ার জাল কাটিয়ে বাইরে আসতে না পেরে, ব্যৰ্থতার দুঃখে কেমন বিবৰ্ণ হয়ে গেছে লক্ষ্য ক’রে আমার একটা কথাই কেবল মনে হ’তে লাগল-এই জ্যোৎস্না, এই ফুলের ক্ষেত, এই হ্রয়োদশী, এবারকার মত সব মিথ্যা, সব ব্যর্থ।-ও জ্যোৎস্না প্ৰতীক্ষায় থাকুক। সেই