পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Crst কতকগুলো টাটুক-তোলা লেবু ফুল, কতকগুলো গাঁদা ফুল, আর কতকগুলো আধ। শুকনো ঘেটু ফুল। ফুলগুলোর তলায় একটু আধা-ময়লা নেক’ড়ায় যত্ব BDBSButDBDDLD DDD DDD S S SBBD D sLD DD DBBD BBB BB LLLLLLLLY ফুলের কাৰ্য্যকারণ সম্পর্ক, এই নির্ণয় করতে কৌতুহলবশতঃ নেকড়ার ভাজ খুলে ফেলে দেখলুম। তার মধ্যে খানকতক খামের চিঠি। চিঠিগুলোর ওপর উমারাণীর নামে ঠিকানা লেখা, হাতের লেখা আমার ভগ্নীপতি সুরেনের। তার পোষ্ট অফিসের মোহর দেখে বুঝলুম চিঠিগুলো পাঁচ-ছয় বছরের পুরানো, একখানা কেবল এক বছর আগে লেখা । কৃপণের ধনের মত উমারাণী যার পুরোনো চিঠিগুলো এমন সযত্নে রক্ষা করছে, তার মধুর হৃদয়ের স্নেহচ্ছায়া-গহন যুখীবনে যার স্মৃতির নীরব আরতি এমনি দিনের পর দিন প্ৰতি সকাল-সাঝে চলছে, কেমন সে অভাগা দেবতা, যে এ উপাসনা মন্দিরের ধূপ-গন্ধকে এড়িয়ে চিরদিন বাইরে বাইরেই ফিরতে द्वन्न ! • •· মাঠ থেকে বেড়িয়ে যখন আসি, তখন সন্ধ্যা হ’য়ে গিয়েছে, ওদের রান্নাঘরে আলো জলছে। আমার পায়ের শব্দ শুনে উমারাণী বললে--দাদা এলেন ?- আমি উত্তর দেবার পূর্বেই সে হাসিমুখে রান্নাঘর থেকে বার হয়ে এল। বললে-দাদা বুঝি আমাদের দেশ বেড়িয়ে বেড়াচ্ছেন ? কোন দিক বেড়িয়ে এলেন, নদীর ধারে বুঝি ? তারপর সে বললে--দাদা, আপনি স্নান্নাঘরে বসবেন ? আমি আপনার জন্যে পিড়ি পেতে রেখেছি। পিসিমা বললেন-বৌমার যত অনাছিষ্টি, এখানে বাছাকে ধোয়ার মধ্যে বসিয়ে রাখা । আমি বললুম-আমার কোন কষ্ট হবে না, এখানেই বসি পিসিমা । রান্নাঘরের মধ্যে গিয়ে বসলুম। উমারাণী খাবার তৈরী ক'রে রেখেছিল আমায় খেতে দিল, তারপর কাজ করতে ব'সে গেল। দেখলুম। সে অনেকগুলো চালের গুড়ো ময়দা ইত্যাদি উপকরণ নিয়ে খুব উৎসাহের সঙ্গে পিঠে তৈরী সুরু করেছে। পিসিমা খুবই বৃন্ধা, তিনি কাজকৰ্ম্ম বিশেষ কিছু করতে পারেন না। খাটতে সবটাই হচ্ছিল উমারাণীর। রোগা মেয়েটির অবস্থা