পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

阿哥阿 কর্ণপুর সংসার ছাডিয়া বৃন্দাবন যাইতেছিলেন। সংসারে তঁাহার কেহই ছিল না। স্ত্রী পাচি ছয় বছর মারা গিয়াছে, একটি দশ বৎসরের পুত্র ছিল, সেও গত শরৎকালে শারদীয় পূজার অষ্টমীর দিনে হঠাৎ বিসূচিকা রোগে দেহত্যাগ করিয়াছে। সংসারের অন্য বন্ধন কিছুই নাই। বিষয়-সম্পত্তি যাহা ছিল, সেগুলি সব জ্ঞাতি-ভ্রাতাদের দিয়া অত্যন্ত পুরাতন তালপত্রে কয়েকখানি ভক্তি-গ্ৰন্থ জীর্ণ তসরের পুটুলিতে স্বাধিয়া লইয়া কৰ্ণপুর পদব্রজে বৃন্দাবন যাইবার জন্য প্রস্তুত হইলেন। কর্ণপুরের জন্মপঞ্জী অজয় নদের ধারে। তিনি পরম বৈষ্ণবের সন্তান। অজয়ের জলের গৈরিক দুই তীরের বন-তুলসীর মঞ্জরীর ড্রাণে কোন শৈশবেই তঁর বৈষ্ণব ধৰ্ম্মে মানসিক দীক্ষা হয়। তিনি গ্রামের টোলে উত্তমরূপে সংস্কৃত অধ্যয়ন করেন। দুই-একটি ছাত্রকে কিছুকাল স্মৃতি ও বৈদ্যাকশাস্ত্রও পড়াইয়াছিলেন। ছাত্রেরা দেখিত তাহদের অধ্যাপক মাঝে মাঝে ঘরে দুয়ার বন্ধ করিয়া সমস্ত দিন কঁাদেন। পাগল বলিয়া অথ্যাতি রটাতে ছাত্রের। ছাড়িয়া গেল, প্রতিবেশীরা তাচ্ছিল্য করিতে সুরু করিল, তাহার উপর প্রথমে স্ত্রী তৎপরে পুত্রেব মৃত্যু। সংসারের উপর কর্ণপুর निऊलुझे दिब्रुढ् श्ङ् ऍठिंब्लन | যাইবার সময় জ্ঞাতি ভ্রাত রসরাজ আসিয়া মায়াকান্না কঁাদিল, গ্রামের এক ব্ৰাহ্মণ বহুদিন ধরিয়া কৰ্ণপুরের নিকট ঋণ গ্ৰহণ করিয়াছিল এবং তাহার পর হইতেই সে তাহাকে বাজি-জ্ঞানে শত হস্ত দূরে রাখিয়া চলিয়া আসিতেছিল। আজ যখন সে দেখিল কর্ণপুর সত্য সত্যই বাহির হইয়া যাইতেছেন, ফিরিবার কোন আশঙ্কা নাই, তখন সে আসিয়া মহা পীড়াপীড়ি সুরু করিল-আর কয়েকটা মাস থাকুন, যে করিয়া পারি ঋণটা শোধ করিয়া ফেলি, কারণ ঋণ পাপ ইত্যাদি।--উদারচিত্ত কর্ণপুর এসব কপট প্রবন্ধ বুঝিলেন না। তিনি রসরাজকে তাহার প্রার্থনা-মত তাল-দিমীর পাড়ের