পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গািমভিশপ্ত “আমার জীবনে সেই একটা অদ্ভুত ব্যাপার সেবার ঘটেছিল। বছর তিনেক আগেকার কথা। আমাকে বরিশালের ওধারে যেতে श्रझश्लि पकप्ने। कोigछ । ও অঞ্চলের একটা গঞ্জ থেকে বোলা প্রায় বারোটার সময় নৌকোয় উঠলুম। আমার সঙ্গে এক নৌকোয় বরিশালের এক ভদ্রলোক ছিলেন। গল্পে-গুজবে সময় কাটতে লাগল। সময়টা পূজোর পরেই। দিনমানটা মেঘলা মেঘলা কেটে গেল। মাঝে মাঝে টপ টপ ক'রে বৃষ্টিও পড়তে শুরু হ’ল। সন্ধ্যার কিছু আগে কিন্তু আকাশটা অল্প পরিষ্কার হয়ে গেল। ভাঙা ভাঙা মেঘের মধ্যে দিয়ে চতুর্দশীপ চাদের আলো অল্প অল্প প্ৰকাশ হ’ল। , , সন্ধ্যা হবার সঙ্গে সঙ্গে আমর। বড় নদী ছেড়ে একটা খালে পড়লুমSEDD DBB S BDBDS gDBBD LB DBBDD DBD DBDDBDDBD DDD BD একেবারে মেঘনায় মিশেছে। পূর্ববঙ্গে সেই আমার নতুন যাওয়া, চোখে কেমন সব একটু নতুন ঠেকতে লাগল। অপরিসর খালের দুধারে বৃষ্টিস্নাত কেয়ার জঙ্গলে মেঘে আধো-ঢাকা চতুর্দশীর জ্যোৎস্না চিক্‌ মিক্‌ করছিল। মাঝে মাঝে নদীর ধারে বড় বড় মাঠ। শট, বেত, ফার্নগাছের বন জায়গায় জায়গায় খালের জলে ঝুকে পড়েছে।--বাইরে একটু ঠাণ্ড থাকলেও আমি দুইএর বাইরে বসে দেখতে দেখতে যাচ্ছিলুম-বরিশালের সে অংশটা সুন্দরবনের কাছাকাছি, ছোট ছোট খাল ও নদী চারিধারে, সমূদ্র খুব দূরে নয়, দশ-পনেরো মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমেই হাতিয়া ও সন্দ্বীপ । আর একটু রাত হ’ল। খালের দু’পাড়ের নির্জন জঙ্গল অস্ফুট জ্যোৎস্নায় কেমন যেন অদ্ভুত দেখাতে লাগল। এ অংশে লোকের বসতি একেবারে নেই ; শুধু ঘন বন আর জলের ধারে বড় বড় হোগলা গাছ। আমার সঙ্গী বললেন-এত রাতে আর বাইরে থাকবেন না, আসুন ছইএর মধ্যে। এসব জঙ্গলে-বুঝলেন না ?