পাতা:মেজ বউ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t মেজ বউ । আছে ; সে দোষগুলির এখানেই উল্লেখ করা ভাল। "প্রথম দেীর্ষ তিনি বড় পরিস্কার। তাঁহার ঘরটা খড়ের ঘর, दिब्रु^र्डिंउत्नप्रै এরূপ পরিপাটীরূপে সাজান যে, দেখিলে দেখিতে ইচ্ছা করে। প্রমদার কাপড়গুলি পরিস্কার, বিছানার চাদর পরিস্কার, মশারিটি ਅਨਿ / ব্যঞ্জন পরিস্কার ; এই জন্য কেহ কেহ তঁহাকে “বাবু বউ” কেহ “বিবী। বউ” কেহ “মেম সাহেব” প্ৰভৃতি নানাপ্রকার ব্যঙ্গ করিয়া থাকেন। র্তাহার ঘরটীি “মেজ বউএর ঘর” বলিয়া পাড়ায় প্ৰসিদ্ধ। অন্য পাড়ার গৃহিণীর বেড়াইতে আসিলে সৰ্ব্বাগ্রে “কই, তোমাদের মেজ বউএর ঘর দেখি” বলিয়া দেখিতে যান ; পাড়ার বউএরা “বাপ রে মেজ বউএর ঘর নোংরা করিস নি” বলিয়া শিশুদিগকে, নিবারণ করেন। প্রমদার দ্বিতীয় দোষ, তিনি পড়া শুনা করিতে বড় ভালবাসেন। পিত্ৰালয়ে বিবাহের পূর্বেই তিনি বেশ বাঙ্গালা শিখিয়াছিলেন, বিবাহের পর ১০|১২ বৎসর প্রবোধচন্দ্রের সাহায্যে আরও অনেক উন্নতি করিয়াছেন। সর্বাবিধ গৃহকাৰ্য্যে তিনি সুদক্ষ এবং সর্বদা ব্যস্ত, তথাপি দিবার মধ্যভাগে ও রাত্রিকালে যে কিছু অবসর পান, তাহা জ্ঞানালোচনাতে যাপন করেন। তাঁহার তৃতীয় দোষ এই যে, তাহার পিতা ৪০০ শত টাকা বেতনের একটী চাকরি করেন। অবোধ পাঠিক হয় তা জিজ্ঞাসা করিবেন, ইহাতে র্তাহার দোষ কি ? দোষ আছে বই কি ? নতুবা শ্ৰঠাকুরাণী এই কারণে তাঁহার প্রতি এত বিরক্ত হইবেন কেন ? এই জন্য তীহাকে “রাজার মেয়ে” “নবাবের ঝি” “বড় মানুষের মেয়ে” প্ৰভৃতি নানাপ্রকার বাক্যে লাঞ্ছনা দিবেন কেন ? অতএব ইহাও তাঁহার একটী দোষ। এই তিনটী দোষ ভিন্ন তাহার কোন প্রকার দোষ দেখা যায় না। এদিকে প্ৰবােধচন্দ্র আর : অপেক্ষা করিতে পারিতেছেন না। এক একবার সাতৃষ্ণ-নয়নে রন্ধন