পাতা:মেজ বউ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ। ৰূপ-গুণের প্রশংসা করেন, কেহ কিছু আহার করিতে দেন। লীলার সমীৰুরের সীমা পরিসীমা নাই। পাঠক পূর্বে যে ঝুমঝুমির বিবরণ পড়িয়াছেন, লীলা সে ঝুমঝুমি পরিত্যাগ করিয়াছেন, ঘরই তাহার গ্রাজ্যের • অন্তভূর্ত হইয়াছে। তবে চৌকাটট পার হইবার সময় ধরিয়া পার হইতে হয় এবং না। তুলিয়া দিলে চেয়ারখানি অথবা খাটখানির উপর উঠতে পারেন না। তঁহার নধর কোমরে সোণার কোমরূপটা নিমফলের যে কি শোভা হইয়াছে তা আর বলিব কি ? লীলা এখন আর এক প্ৰকার খেলা আরম্ভ করিয়াছেন। তঁহার সন্তান সন্ততি অনেকগুলি হইয়াছে। দুঃখের বিষয় আমাদের চক্ষে সেগুলি কাষ্ট-নিৰ্ম্মিত। লীলা এখন সেগুলির পরিচর্গ্যাতেই সৰ্ব্বদা ব্যস্ত। এমন কি নিজের স্নান আহারের সমৃত্যু হইয়া উঠা ভার। তঁহাকে অনেক সাধ্য সাধনা কৰ্বিয়া দুধ পান করাইতে হয়। তিনি একখানি পাতলা ডুরে কাপড় পরিয়া এক কোণে রেসিগ্না কখনও সেই কাষ্ঠ নিৰ্ম্মিত সন্তানগুলিকে স্তন্যপান করাইতেছেন ; কখনও ঘুম পাড়াইতেছেন, কখনও চােক । রাঙ্গাইতেছেন, কখনও নিজ জননীর কোলে শয়ন করাইয়া রাখিয়া যাইতেন। এইরূপে নির্জীব পদার্থের সেবাতেই তাঁহাকে বৃত্ব থাকিতে হইত। কিছুদিন হইল একটা সজীব পদার্থ যুটিয়াছে। তিনি কোন প্রতিবেশীর বাড়ীতে বেড়াইতে গিয়া একটা মার্জার-শিশু আনয়ন করিয়াছেন। সেইটাকে হয় স্কন্ধে না হয় কুক্ষিতলে করিয়া সৰ্ব্বদাই এঘর ওঘর ঘুরিয়া থাকেন। সেইটাকে স্বন্ধে করিয়া চোেকাট পার হওয়া তাঁহার পক্ষে একটী কৃচ্ছ -সাধ্য ব্যাপাব, বোধ হয় কেহ অস্বীকার করিবেন না, সুতরাং তঁহার স্নেহের গভীরতাতেও কেহ অবিশ্বাস করিলেন না । l, পাক শাকের ভার না থাকাকে প্রমদার কথন অবসরের অপ্ৰতুল