পাতা:মেজ বউ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

at (भछ गठे । নাই এবং সেই সময়ের, কিরূপ সদ্ব্যবহার করিতে হয়, তাহাও তিনি জানেন। পূৰ্বাবধিই কঁহার লেখা পড়া শিখিবার বিশেষ ইচ্ছা ছিল ; শ্বশুদ্ৰগৃহে থাকিয়াও তিনি এ বিষয়ে উদাসীন ছিলেন না। নানাপ্রকার উপহাস বিদ্রুপ সহ্য করিয়াও তিনি লিখিতে পড়িতে ক্ৰটী করিতেন না । সম্প্রতি সে সব ভয় আর নাই, সুতরাং তিনি অবাধে পড়া শুনা আরম্ভ করিয়াছেন, মিশনারি সাহেবদিগের একজন মেমও তাহার ভবনে গতায়াত করিয়া থাকেন। প্ৰবোধচন্দ্রের বাড়ীর পাশ্বের আর একজন উকীলের বাস। তঁহার নাম যোগেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। একটা ছোট দ্বার দিয়া ভয় বাড়ীতে গতায়াত করা যায়। এ বাড়ীতে আসা অবধি যোগেশচন্দ্রের মাতা সহধৰ্ম্মিণীর সহিত প্ৰমদার বিশেষ আত্মিয়ত ভাইয়াছে। বিশেষ যোগেশ বাবুর পত্নী তাঁহার নিতান্ত অনুগত চুইয়াছেন, তাহাকে নিজ ভগিনীর ন্যায় ভাল বাসিয়া ও শ্রদ্ধা করিয়া থাকেন। প্রমদা সেই বন্ধটিকে নিত্য পড়াইয়া থাকেন। s প্ৰবোধচন্দ্রের দিন এইরূপ সুখে কাটিয়া যাইতেছে, আয় উত্তরোস্তুর বৃদ্ধি পাইতেছে ; ঋণগুলি সমুদায় শেষ হইয়াছে ; দুই একখানি করিয়া - প্রমদার অলঙ্কারগুলি আবার হইয়াছে ; বাড়ীতে রীতিমত অর্থাদি যাওয়াতে সেখানেও পরিজনগণ সুখে বাস করিতেছেন। একদিন প্ৰবোধচন্দ্ৰ কাছারি হইতে আসিয়া আহারাদির পর বিশ্রাম করিাতেছেন। রাত্ৰি চারি ছয় দণ্ড অতীত হইয়াছে। লীলা এতক্ষণ প্ৰদীপের আলোকে নিজের ছায়া দেখিয়া, এবং মার্জার শিশুটিকে খাটের নীচে হইতে টেবিলের তলে, টেবিলের তল হইতে আলমারির পার্শ্বে, আলমারির পার্শ্ব হইতে পিড়িখানির অন্তরালে তাড়া করিয়া বেড়াইতেছিল, এইমাত্র সেও ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। দাসদাসীগণ পাকশালার দিকে আহারাদি ও গল্পগাছা করিতেছে। প্ৰতিবেশীদের ভবনে বালকেরা