পাতা:মেজ বউ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ। ○ পারিলেন যে, কলিকাতায় থাকা বড় কর্তার অভিপ্ৰায় নয়। ঈশ্বৰ্গর মনে কিঞ্চিৎ ক্লেশ হইল ; কিন্তু মনের ক্লশ নিবারণ ন গৃহিণীকে পানসি হইতে তুলিয়া ঘরে আর্মিলেন ।। শ্যামা, সেজ বউ, ছোট বউ প্রভৃতিকে পরম সমাদরে”আঁর এক ঘরে লইয়া বসাইলেন, এবং পরেশের কন্যা দুটীর মুখচুম্বন করিয়া পরিচর্য্যার্থ দাসী দিগকে আদেশ করিলেন। লীলা এক ঘরে এক খেলা করিত, ‘এরা = আবার কে” বলিয়া প্ৰথমে একটু জড়সড় হইয়াছিল, কিন্তু বালকের প্ৰণয় অদ্ধ দণ্ডেই। সে পিসীদের কোল হইতে কাকাদের কোলে ক্ষণকাল বিচরণের পর নামিয়াই পরেশের কন্যাদের সহিত যুটীয়া গিয়াছে। "আধ্য আধা বকিয়া এঘর ও ঘর বেড়াইতেছে, কণ্ঠের পুতুলগুলি বাহির করিতেছে, ভগিনী দিগকে এটা ওটা দেখাইতেছে। ঘাহির বাড়ীতে বাবুদের পরামর্শ হইয়া কবিরাজ দেখােনই স্থির হইল ; তদনুসারে ইরিতারণ একজন . সুযোগ্য কবিরাজ ডাকিয়া আনিলেন। চিকিৎসার বন্দোবস্ত হইল, ঔষধ পত্ৰ আসিল, সেবা শুশ্রুষাও চলিল। হরিশ্চন্দ্র দুই দিন পরেই ঘরে যাইবার অভিপ্ৰায় প্রকাশ করিলেন, বলিলেন, “তিনি বাড়ীর বন্দোবস্তু করিয়া আসিতে পারেন নাই, কাজ কৰ্ম্মও ফেলিয়া আসিয়াছেন, না গেলেই নয়।” প্রমদা কি করেন নিরুত্তর রহিলেন। হরিশ্চন্দ্ৰ মাতাকে একাকিনী ফেলিয়া ঘরে ফিরিয়া গেলেন । শুনিতে পরিবারে অনেক লোক আছেন বটে, কিন্তু প্ৰমদাও হরিwারণ ভিন্ন অন্য কাহারও দ্বারা বিশেষ সাহায্য হয় না। প্রমদা সৰ্ব্বদা স্বাদর নিকটে বসিয়া থাকেন, দণ্ডে দণ্ডে জল, বেদান প্ৰভৃতি দেন, ন কােন লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহা লক্ষ্য করেন। হরিতারণ দিনের বেলার একবার কলেজে যান এবং অবসর হইলেই আসিয়া রোগীয়