পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দু-রাজত্ব-তাম্রলিপ্ত-রাজ্য। し76 আবিষ্কৃত হইয়াছে। ১৮৮২ খৃঃ অব্দে তমলুকে প্রথম কাণিস্কের একটি তাম্রমুদ্রা পাওয়া যায়। ঐ মুদ্রাটিতে রাজমূৰ্ত্তি অঙ্কিত ও গ্রীক অক্ষরে রাজার নাম ও উপাধি লিখিত আছে। & গুপ্ত-রাজগণের কয়েকটি মুদ্রাও বঙ্গের নানাস্থানে আবিষ্কৃত হইয়াছে। তমলুকে গুপ্ত-সম্রাট মহারাজাধিরাজ প্রথম কুমারগুপ্তের একটি সুবর্ণ-মুদ্রাও পাওয়া গিয়াছে। ঐ মুদ্রাটির এক দিকে পদ্মাসনা লক্ষ্মীমূৰ্ত্তি ও অপরদিকে অশ্বপৃষ্ঠে রাজমূৰ্ত্তি অঙ্কিত। রাজা অশ্বারোহণে বামদিকে গমন করিতেছেন। । ১৯০৪ খৃঃ অব্দে মেদিনীপুর জেলায় অন্যতম গুপ্ত-সম্রাট মহারাজ স্কন্দ্রগুপ্তেরও একটি সুবর্ণমুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছিল । ঐ মুদ্রাটিতে রাজমূৰ্ত্তির দক্ষিণপার্থে একটি রমণী-মূৰ্ত্তি অঙ্কিত। মুলতত্ত্ববিহুগণ অনুমান করিতেন, এই রমণীমূর্তিটি স্কন্দ্রগুপ্তের পট্টমহিষীর মূৰ্ত্তি । কিন্তু সম্প্রতি পণ্ডিতপ্রবর জন আলেন মহোদয় স্থির করিয়াছেন যে, স্কন্দগুপ্তের সুবর্ণমুদ্রায় খোদিত রমণীমূৰ্ত্তিটি ঐ বা লক্ষীমূৰ্ত্তি। উহা তাহার পটুমহিষীর মূৰ্ত্তি নহে। ; গুপ্তরাজগণ লক্ষ্মীর উপাসক ছিলেন। স্কন্দ্রগুপ্তের এই জাতীয় মুবর্ণমুদ্রা অতীব দুষ্প্রাপ্য ; সামান্ত কয়েকটিমাত্র আবিষ্কৃত হইয়াছে। তমলুকে পাঠান ও মোগল বাদশাহগণের কয়েকটি মুদ্রাও পাওয়া গিয়াছে। কিন্তু আজ পর্য্যস্ত তাম্রলিপ্তের কোন রাজার মুদ্র আবিষ্কৃত হয় নাই। গুপ্তরাজগণের রাজত্বকালে চীনদেশীয় কয়েকজন বৌদ্ধ পরিব্রাজক ভারতবর্ষে আগমন করিয়াছিলেন । র্তাহীদের লিখিত বিবরণে

  • Proceedings of the Asiatic Society of Bengal 1882, p. 112.

J. R. A. S. 1893, p. 121 and Proceedings of the Asiatic Society of Bengal, 1882. p. 112. f Catalogue of Coins in the Indian Musium, p. 127, No. 7.