পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> o. g. মেদিনীপুরের ইতিহাস । রামচন্দ্র কৈবৰ্ত্তরাজের নামোল্লেখ করেন নাই। তমলুকের বর্তমান রাজবংশ জাতিতে কৈবৰ্ত্ত। কালু ভূঞা নামক জনৈক ব্যক্তি এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। কালু ভূঞা ঠিক কোন সময়ে এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, তাহ নিরূপণ করা যায় না। কিন্তু তমলুক রাজবাটীতে যে বংশপত্র আছে, তাহাতে দেখা যায় যে, কালু ভূঞার পরে যথাক্রমে ধাঙ্গড় ভূঞা, মুরারি ভূঞা, হরবার ভূঞা ও ভাঙ্গড় ভূঞা রাজ-আসন প্রাপ্ত হইয়াছিলেন ; লিখিত আছে, ৮১° সালে ( ১৪০৩ খৃঃ অব্দে ) ভাঙ্গড় ভূঞার মৃত্যু হইয়াছিল । * ভাঙ্গড় ভূঞার পরে র্যাহার রাজপদ প্রাপ্ত হন, বংশপত্রে তাহাদের সকলেরই রাজত্বকালের নিরূপণ পাওয়া যায়। ঐতিহাসিক গণনানুসারে তিন পুরুষে এক শতাব্দী ধরিয়া হিসাব করিলে মোটামুট জানা যায়, কালু ভূঞা ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথম-তাগে বৰ্ত্তমান ছিলেন। রামচন্দ্রের পুথিতে উল্লিখিত ঘটনার সময়ও প্রায় ঐরুপ। অধিকন্তু পূৰ্ব্বোক্ত পুথিতে দেখা যায়, কাকড় দেশের কৈবৰ্ত্ত-রাজা হাজার কৈবৰ্ত্ত সেনা লইয় এ দেশে আসিয়াছিলেন ; এ দেশেও বহুকাল হইতে একটি প্রবাদ চলিয়া আসিতেছে যে, কালু ভূঞা উড়িষ্য হইতে আইসেন এবং তাহার সমভিব্যাহারে চারি শত ঘর কৈবৰ্ত্ত এতদ্দেশে আসিয়া বাস করে। । মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে, উড়িষ্যার উত্তয়-সীমায়, সমুদ্রতীরে এক্ষণে কাকরাচ্যের নামে একটি পরগণা আছে । কাকরাচ্যের প্রাচীন পরগণা। উৎকলের মাদল। পাঞ্জীতে দেখা যায়, তৎকালে উৎকলপ্রদেশ যে একশত দশটি বিশিতে বিভক্ত ছিল, কাকরাচোর তন্মধ্যে একতম। আমরা অনুমান করি, • • Bayley's Memoranda of Midnapore, p. 33. t Hunter's Orissa, vol. I, pp. 313-14.