পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

39 মেদিনীপুরের ইতিহাস । আর বিশেষ কিছুই জানা যায় না। আমাদের অম্বুমান, এগরা ও পটাশপুর থানার ভূভাগ লইয়াই নইগ দণ্ডপাঠ গঠিত ছিল । সেই জন্ম আমরা ইহাও অনুমান করি যে, ঐ বংশই তৎকালে উক্ত দণ্ডপাঠের অধিপতি ছিলেন। টানিয়া দণ্ডপাঠের কোন দেশাধিপতির নাম বা বংশের পরিচয় পাওয়া যায় নাই। মাদলাপাঞ্জীতে দেখা যায় যে, তৎকালে টানিয় দণ্ডপাঠ ছয়টি বিশিতে বিভক্ত ছিল । ༢ཨཱ་ཨཱཿ ཀ་༦༠ প্রত্যেক বিশি বা খণ্ডে খণ্ডপতি নামে এক এক জন প্রধান রাজকৰ্ম্মচারী এবং হিসাব-পরিদর্শনের জন্য বিশোই’ বা "ভূইমাল’ নামে আর একজন কৰ্ম্মচারী থাকিতেন । কোন কোনও দণ্ডপাঠে বিশিগুলি ‘খণ্ড’ বা ‘চেীর’ নামেও পরিচিত হইত। বিশি বা খণ্ডের আয়তন প্রায় পরবত্তী কালের পুংখণগুলিঃ আয়তনের অনুরূপ ছিল। বিশিগুলি আবার কতকগুলি গ্রামে বিভক্ত থাকিত। সে কালে ঐ গ্রাম বা গাগুলিই দেশশাসন ও জমজমা-পদ্ধতির মূল ভিত্তি ছিল। প্রত্যেক গ্রামে একজন করিয়া প্রধান’, একজন ‘ভোই’ ও একজন দণ্ড আসি’ থাকিত । "প্রধান’ গ্রামশাসন ও সংরক্ষণের ভার-প্রাপ্ত প্রধান কৰ্ম্মচারী ছিলেন । ৭ামবাসিগণ রাজার প্রাপ্য কর র্তাহার হস্তেই অৰ্পণ করিত। ‘ভোই’ হসাব পরিদর্শন করিতেন এবং ‘দওআসি'র কার্য্য অনেকটা বৰ্ত্তমানকালের গ্রাম্য চৌকীদারের কাৰ্য্যের অনুরূপ ছিল। প্রধানের খণ্ডপতির নিকট রাজস্ব পাঠাইয়া দিতেন, খগুপতির দ্বেশাধি তিগণকে দিতেন এবং দেশাধিপতিগণ আবার উহ্য রাজ-সরকারে দাখিল করিতেন । এই প্রদেশের মধ্যে পূৰ্ব্বোক্তরূপ উপাধিধারী কয়েকটি প্রাচীন বংশ্বের বাস আছে । তঁহাদের ঐ সকল উপাধি দর্শ ন মনে হয়,