পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:& 8 মেদিনীপুরের ইতিহাস। হইতে অবগত হইয়া ক্রোমেলীন সাহেব লিখিয়াছেন এবং নিখিল বাবুও তাহার গ্রন্থে উদ্ধৃত করিয়াছেন যে, বাহাদুর ধার মৃত্যুর পর দুইজন হিন্দু কৰ্ম্মচারী হিজলী-রাজ্য অধিকার করিয়া লইয়াছিলেন। হিজলীর মসৃন-ই-আলী-বংশের সহিত যদি ঈশা খার কোন সম্বন্ধ না থাকে, তাহা হইলে কি স্বত্রে মুসলমান-রাজ্যের অধিকার সামান্য হিন্দু কৰ্ম্মচারী দুই জন পাইলেন ? বঙ্গের কি উড়িষ্যার পাঠান অথবা মোগল শাসনকৰ্ত্তাগণই কি স্বেচ্ছায় ঐ রাজ্যটি তাহদের হস্তে তুলিয়া দিয়াছিলেন ? মসৃন-ই-আলী-বংশ ঈশ্বরানুবৃহীত বলিয়া পরিচিত ছিলেন। র্তাহীদের রাজ্যটি বিনা কারণে হিন্দু কৰ্ম্মচারীদিগের হস্তে চলিয়া গেল, আর বঙ্গ-উড়িষ্যার মুসলমান-সমাজ তাহ নীরবে সহ করিলেন ? অধিকন্তু নিখিল বাবু নিজেই বলিয়াছেন যে, হিজলীর মস্নদ-ই-আলী-বংশ অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ছিলেন এবং সেই জন্যই তিনি অনুমান করেন যে, উইারাও তৎকালীন দ্বাদশ ভৌমিকের অন্যতম হইতে পারেন। * যদি তাহাই হয়, তাহা হইলে বাহাদুর খাঁর মৃত্যুর পরেই তাদৃশ ক্ষমতাশালী রাজবংশের হঠাৎ এরূপ কি কারণ ঘটিল যে, দুই জন হিন্দু কৰ্ম্মচারী সে রাজ্যটি অধিকার করিয়া লইল, আর উহার কোন প্রতিবিধান হইল না ? নিশ্চয়ই এমন কিছু কারণ বটিয়াছিল—যাহার প্রতিবিধান করা তখন মুসলমানদিগের সাধ্যায়ত্ত হয় নাই। এই সকল কারণে আমরা সিদ্ধান্ত করি, হিজলীর ঈশা খার সঙ্গেই প্রতাপের যুদ্ধ বাধে। নিখিল বাবু হিজলীর ঈশা খার অস্তিত্বের কথা অবগত ছিলেন না বলিয়াই উড়িষ্কার ঈশা খা লোহানীর সহিত বসন্ত রায়ের বন্ধুত্বের কথা বলিয়াছেন। হিজলীর ঈশা খার বিষয় অবগত থাকিলে, তিনি বসন্ত রায়ের সহিত প্রতাপের বন্ধুত্ব, রাঘব • প্রতাপাদিত্য–উপক্রমণিক-সৃ নন।