পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ఆ মেদিনীপুরের ইতিহাস। গণনা না হয় গরু ধান্য অপ্রমিত । সম্পত্তি দেখিয়া মহারাজা চমকিত ॥ হেনমতে বৈসে তথা বলভদ্র দাস । হিজলী-মণ্ডলে শোভে করিয়া নিবাস ॥” এতদ্ভিন্ন রসিকানন্দের সহিত ইচ্ছাদেবীর বিবাহ উপলক্ষে হিজলার যেরূপ বর্ণনা গ্রন্থমধ্যে দৃষ্ট হয়,তাহাতে উক্ত বংশের ধনসম্পত্তি ও খ্যাতিপ্রতিপত্তির যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। বলভদ্র দাসকে মেদিনীপুরে অবস্থিত বাদসাহের কৰ্ম্মচারীর নিকট হিজলীর রাজস্ব দাখিল করিতে হইত। এক সময় তাহার নিকট লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব বাকী পড়াতে র্তাহাকে কারারুদ্ধ হইতে হইয়াছিল। অতঃপর সিকানদের পিতা রাজা আচুতিনন্দ বলভদ্রের টাকার জামীন হওয়ায় তাহাকে মুক্তি দেওয়া হয় । * গোপীজনবল্লভ দাস রসিকানন্দের সমসাময়িক ভক্ত বৈষ্ণব কবি। তিনি রসিকানন্দের বাল্য-সুহৃদও ছিলেন। এই কারণে র্তাহার লিখিত বিষয়ের সত্যাসত্য সম্বন্ধে সন্দেহ করিবার বিন্দুমাত্র কারণ নাই । রসিকানন্দ ১৫৯০ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৬৫২ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত বৰ্ত্তমান ছিলেন । কোন বৎসর রসিকানন্দের বিবাহ হইয়াছিল, তাহা সঠিক বলিতে ন৷ পারিলেও, রসিকমঙ্গল হইতে জানা যায় যে, অল্পবয়সেই তাহার বিবাহ হয়। সুতরাং ইহা অনুমান করা যাইতে পারে যে, খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমপাদে বলভদ্র দাস হিজলীতে রাজত্ব করিতেন এবং সে সময় হিজলী মুসলমান বাদসাহের অধিকারভুক্ত ছিল। রসিকমঙ্গল গ্রন্থে বলভদ্র দাসের খুল্লতাত বিভীষণ মহাপাত্র নামক এক ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়। বিভীষণ দাস নামক এক ব্যক্তির নাম স্থানান্তরেও আবিস্তুত হইয়াছে। হিজলী প্রদেশের অন্তর্গত বাহিরী

  • রসিকমঙ্গল-সোরদাচরণ মিত্র সম্পাদিত-পৃ. ৪২-৪৩। '