পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুসলমান-অধিকার—পাঠান-রাজত্ব। &ఫి ও তাহার ভ্রাতা সদাশিব ইহার| সকলেই সেই প্রাচীন দেশাধিপতি - বংশসস্তৃত ছিলেন। বাহিরীর প্রস্তর-লিপিতে যে কাশীদাসের নাম উল্লিখিত হইয়াছে, সম্ভবতঃ তিনিই ঐ দেশাধিপতি-বংশের প্রতিষ্ঠাতা। গোপীনাথ পট্টনায়কও সেই বংশসস্তৃত। বহু দিবস হইতে এ প্রদেশে একটি জনশ্রুতি আছে যে, হিজলীর প্রাচীন রাজবংশকে উৎখাত করিয়া মসনদ-ই-আলী-বংশ এ প্রদেশে প্রতিষ্ঠিত হইলে পর পরবৰ্ত্তিকালে দেই বংশীয় কেহ মসৃনদৃ-ই-আলীদিগের অধীনে উক্ত রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত হইয়াছিলেন ; উত্তরকালে মসৃনদৃ-ই-আলীবংশের অধিকার লুপ্ত হইলে, সেই বংশীয় কেহই আবার এই প্রদেশে একটি ক্ষুদ্র রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেন। এই জনশ্রুতির উপর নির্ভর করিয়! কেহ কেহ বলিয়া থাকেন যে, উত্তরকালে স্থাপিত ক্ষুদ্র মুজামুঠ-রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা গোবৰ্দ্ধন রঞ্জা উক্ত কৰ্ম্মচারী এবং তাহার পূৰ্ব্বপুরুবগণই ঐ প্রদেশের প্রাচীন রাজা ছিলেন। দশ বারো বৎসর পূৰ্ব্বে আমারও ঐরূপ ধারণা ছিল এবং সেই ধারণার বশবৰ্ত্তী হইয়াই ‘নীহার’ পত্রে “হিজলী-কাৰ্থি”-শীর্ষক প্রবন্ধে প্রসঙ্গক্রমে আমি সেই কথার উল্লেখ করিয়াছিলাম। আমার লেখার পরে অন্ত দু’একজন লেখকও উহা গ্রহণ করিয়াছেন। সে সময় বাহিরীর খোদিত লিপির বিষয় আমি অবগত ছিলাম না, রসিকমঙ্গল গ্রন্থও আমার হস্তগত হয় নাই। এক্ষণে আমার বিশ্বাস, পূৰ্ব্বোক্ত কাশীদাসের বংশই হিজলীর সেই প্রাচীন রাজবংশ বা *ে**ধিপঃি ংঃ* এবং সেই বংশীয় ভীমসেন মহাপাত্রই মসৃন-ই-আলী-বংশের অধীনে রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত হইয়ছিলেন। ঈশা খাঁর মৃত্যুর পর হিজলী-রাজ্যের অধিকার পুনরায় সেই বংশীয়ের হস্তেই আসিয়াছিল। মুজামুঠার রাজগণের পূর্বপুরুষের হিজলীয় প্রাচীন রাজবংশ ।