পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'$$ a মেদিনীপুরের ইতিহাস । যে হিজলীর প্রাচীন রাজা হইতে পারেন না—সে সম্বন্ধেও প্রমাণ আছে ; উক্ত রাজবংশের বিবরণপ্রসঙ্গে সে বিষয়ে আলোচনা করিব । " জনশ্রুতি –ভীমসেন মহাপাত্র বিভীষণের পুত্র। রসিকমঙ্গল গ্রন্থে ভীমসেনের মাম নাই, বলভদ্রের খুল্লতাত বিভীষণের নাম আছে ; কিন্তু বলভদ্রের পিতার নাম নাই। ইচ্ছাদেবীর বিবাহের সময় তাহার কেহ জীবিত ছিলেন, ন, বিভীষণই জীবিত ছিলেন বলিয় তাহার নাম উল্লিখিত হইয়া থাকিবে । সে সময় পৰ্য্যন্ত ভীমসেনের পিতার পক্ষে জীবিত থাকাও কিছু অসম্ভব নহে। ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দে ভীমসেন পরলোকগমন করেন। তাহার অকালমৃত্যু হইয়াছিল। ঐ সময় তাহার বয়স ত্রিশ ও তাহার পিতার বয়স পঞ্চাশ ধরিলেও ইচ্ছাদেবীর বিবাহের সময় বিভীষণ মহাপাত্রের বয়স ৭০।৭৫ হইয়া থাকিবে ; কিংবা কিছু বেশীও হইতে পারে। তবে রসিকমঙ্গলে দেখা যায় যে, রসিকানন্দের অল্পবয়সেই বিবাহ হইয়াছিল। বাহিরীর মন্দিরের সন্মুখস্থ খিলানের উপরে যে খোদিত লিপিটি আছে, উহাতে জানা যায় যে, ১৫০৬ শকাদীয় ( ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দ ) অর্থাৎ যে বৎসর ভীমসেনের মৃত্যু হয়, সেই বৎসর উক্ত মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবতাগণকে গদাধর-নামক গুরুর হস্তে দান করা হইয়াছিল। কিন্তু মন্দিরের অভ্যন্তরস্থ অন্ত প্রস্তরলিপি, হইতে অবগত হওয়া যায় যে, যে দুইজন ব্রাহ্মণ (ধরণী ও চক্ৰধর) ঐ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন তাহার পূৰ্বেই গতামু হইয়াছিলেন। সুতরাং মন্দির-প্রতিষ্ঠার অনেক পরে যে উহা গদাধরকে সমর্পণ করা হইয়াছিল, তাহ -নশ্চিত । এই কারণে আমরা অনুমান করি, ভীমসেনের অকাল হিঙ্গ লীর দেওয়ান ভীমসেন মহাপাত্র ।