পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>७२ মেদিনীপুরের ইতিহাস । ছিলেন। * আবার মুজামুঠ জমিদারীর বিবরণ লিখিতে গিয়া তিনি বলিয়াছেন যে, মাজনামুঠ ও জলামুঠার প্রতি ལྷ་ཐག་པྟ།། ཧྥུ་ཐ་ཨ་ཨཱི། ষ্ঠাতৃদ্বয় বাহাদুর র্থার দেওয়ান ভীমসেন মহাপাত্রের যথাক্রমে সরকার ( Clerk ) ও পাচক ব্রাহ্মণ ছলেন। মুজামুঠ-রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতাও তাহার শরীর-রক্ষক (Personal attendant and man-at-arms) for 1 of Chigo offia শেষাৰ্দ্ধভাগে হিজলী ভীমসেনের অধিকারে ছিল। তিনিই পূৰ্ব্বোক্ত কৰ্ম্মচারিগণকে ঐ সকল স্থানের অধিকার প্রদান করেন। ইহা হইতে মনে হয়, বাহাদুর খাঁর মৃত্যুর পর ভীমসেন হিজলীর অধিকারী হইয়াছিলেন। তৎপরে ঐ রাজ্য মাজনামুঠ, জলামুঠ প্রভৃতি জমিদারীতে বিভক্ত হইয়া যায়। কিন্তু জনশ্রুতি হইতে জানা যায় যে, বাহাদুর খাঁর মৃত্যুর পরে ভীমসেনও আত্মহত্য করিয়াছিলেন। হিজলীর মসজিদে রক্ষিত কাগজপত্রে বাহাদুর খার দেওয়ান ভীমসেনের নামই আছে ; উহাতে মাজনামুঠার প্রতিষ্ঠাতা ঈশ্বরী পট্টনায়েক বা জলামুঠার প্রতিষ্ঠাত কৃষ্ণপণ্ড নামক অন্য কোন কৰ্ম্মচারীর নাম পাওয়া যায় নাই। মাজনামুঠ ও জলামুঠার জমিদারীর কোন কথাই নাই ; কেবল দেখা যায় যে, বাহাদুর খাঁর মৃত্যুর পর হিজলী-রাজ্য দুই জন হিন্দু কৰ্ম্মচারীর হস্তগত হইয়াছিল। মাজনামুঠা ও জলামুঠার জমিদারগণ অৰ্দ্ধ-শতাব্দী পূৰ্ব্বে মেদিনীপুরের তদানীন্তন কালেক্টর কর্তৃক অনুরুদ্ধ হইয় তাহদের যে বংশ-বিবরণ লিখিয়া পাঠাইয়াছিলেন, তাহাতেও দেখা যায় যে, ঐ জমিদারী দুইটির প্রতিষ্ঠাতৃদ্বয় ভীমসেন মহাপাত্রের কৰ্ম্মচারী ছিলেন ; বাহাদুর ধার নহে।

  • District Gazetteer—Midnapore—p. o pf + District Gazetteer—Midnapore—p. 219. *