পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুসলমান-অধিকার—পাঠান-রাজত্ব। なも○ এই কারণে মনে হয়, বাহাদুর খার পূৰ্ব্বোক্ত কৰ্ম্মচারিদ্বয়ই মাজনামুঠ ও জলামুঠার প্রতিষ্ঠাতা নহেন। আমাদের অনুমান, পূৰ্ব্বোক্ত বলভদ্র দাস বাহাদুর খাঁর অন্যতম কৰ্ম্মচারী ছিলেন। ভীমসেন তাহার দেওয়ান ও বলভদ্রই পূৰ্ব্বোক্ত সর্দার। সম্ভবতঃ বাহাদুর খাঁর মৃত্যুর পর ইহারা দুইজনেই রাজ্য-পরিচালনার ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন । কিন্তু প্রতাপাদিত্যের ভয়ে ভীমসেন আত্মহত্যা করিলে বলভদ্র ও সদাশিবের হস্তে হিজলীর তার হ্যস্ত হইয়া থাকিবে। পরবর্তিকালে হিজলী রাজ্য মোগল সাম্রাজ্যভুক্ত হইলে বলভদ্রই হিজলীর মণ্ডল অধিকারী হইয়াছিলেন। উত্তরকালে ভীমসেনের পূৰ্ব্বোক্ত কৰ্ম্মচারীদিগের ষড়যন্ত্ৰে সদাশিবের পরবর্তী হিজলীর কোন রাজা রাজ্যচু্যত হইয়া থাকিবেন। মাজনামুঠ ও জলামুঠ জমিদারী এখনও আছে এবং মসৃনদৃ-ই-আলী-বংশের পরিচয় দিতে হিজলীর মসজিদের সেবাইতগণও বিদ্যমান ; কিন্তু হিজলীর সেই প্রাচীন রাজবংশের পরিচয় দিতে এক্ষণে কেহই না থাকায় বহুদিবস হইল লোকে তাহাদের কথা ভুলিয়া গিয়াছে। সেইজন্য লোকে মসৃন-ই-আলী-বংশের দেওয়ান এবং যাজনামুঠ ও জলামুঠ জমিদারীর প্রতিষ্ঠাতৃগণের প্রভু ভীমসেন মহাপাত্রের শূন্য নামটির ছিন্ন স্থত্রে মসনদ-ই-আলীর হিজলী-রাজ্য-লোপের সঙ্গে মাজনামুঠ ও জলামুঠ জমিদারীর প্রতিষ্ঠাতার কথা জুড়িয়া দিয়াছে। ক্রোমেলীন সাহেবের লিখিত বিবরণে এবং ওম্যালী-প্রমুখ লেখকগণের গ্রন্থে এ দুই হিন্দু কৰ্ম্মচারীর পরিচয়স্থলে সেইজন্য অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়। সম্প্রতি কষ্ণুেমন্ত্র হইল, ‘প্রবাসী’ পত্রে, স্বনামখ্যাত ঐতিহাসিক শ্ৰীযুক্ত যদুনাথ মজুমদার মহাশয় প্রতাপাদিত্য সম্বন্ধে কিছুতনৰু