সুদূর অতীতকালে যখন সমগ্র বঙ্গদেশ সাগরগর্ভে নিহিত ছিল, তখন বঙ্গোপসাগরের উত্তর-সীমা ছিল রাজমহল-পর্ব্বতমালা। ক্রমশঃ সুদূর অতীতকাল।মহাসমুদ্রের লীলাভূমি দক্ষিণাভিমুখী হওয়ায় ইদানীন্তন বঙ্গদেশের ‘ব’দ্বীপ সহস্র সহস্র নদনদীসহ সাগরগর্ভ হইতে উত্থিত হইতে আরম্ভ করে। ক্রমে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের পলিতে পুষ্ট হইয়া বর্ত্তমান বঙ্গদেশের সৃষ্টি হইয়াছে।[১]
নবোত্থিতা বঙ্গভূমি প্রথমে ভিন্ন জাতির বাসভূমি থাকিলেও, আর্য্যগণ পরবর্ত্তিকালে এই সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা বঙ্গভূমিতে রাজত্বঅঙ্গ, বঙ্গ ও কলিঙ্গ রাজ্য। বিস্তার করিয়া আর্য্যসভ্যতা সংস্থাপিত করিয়াছিলেন। প্রাচ্য-ভারতে অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ নামে তিনটি রাজ্য সংস্থাপিত হইয়াছিল। এই তিনটি প্রাচ্য-জনপদ প্রাচ্য-সভ্যতার কেন্দ্র ছিল। ভূতপূর্ব্ব ভারতের এই তিনটি প্রাচ্য জনপদের ন্যায়, ধর্ম্ম, শিক্ষা ও বাণিজ্যের গৌরব একদিন