পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল। *ళిః অন্ত একটি ক্ষুত্র দ্বার। দুইটি দ্বারের সম্মুখেই দুইটি কাষ্ঠ নির্মিত সেতু ৰিপ্তমান। প্রথম পরিখার পরেই লোকের বাস ও বাজার , তৎপরে আর একটি অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র পরিখা। দুর্গের কেক্ষস্থলে জমিদারের বাটা। উহার দৈঘ্য উত্তর দক্ষিণে ২৮৮ ফিট এবং প্রন্থ পূৰ্ব্ব পশ্চিমে ২৪০ ফিট । গড়টার মধ্যে তিনটি কুপ আছে এবং বাহিরের পরিখাটির উত্তর পশ্চিম কোণে দুইটি তড়াগ আছে । * ঘাটশিলার এই বিদ্রোহ দমনের জন্ত লেপ্টেনাণ্ট ফাগুশন সাহেব পুনরায় একদল সৈন্ত লইয়া তথার উপস্থিত হয়েন। এই যুদ্ধে ঘাটশিলার বৃদ্ধ জমিদার যথেষ্ট সাহস ও পরাক্রমের পরিচয় দিয়াছিলেন ; কিন্তু বিজয়লক্ষ্মী ইংরাজের পক্ষপাতিনী ছিলেন। বৃদ্ধ রাজা পরাজিত ও সিংহাসনচ্যুত হয়েন এবং তদীয় ভ্রাতুষ্পপুত্র ইংরাজ কর্তৃক ঘাটশিলার রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হইলেন। ১৭৯৮ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে জঙ্গল-মহালের চুয়াড়গণ পুনৰ্ব্বার এক বিদ্রোহের স্বত্রপাত করে। তাহার প্রথমে মেদিনীপুরের পশ্চিমে শিলদা পরগণার অন্তর্গত দুইটি গ্রাম জ্বালাইয়া দিয়৷ এই বিদ্রোহ ঘোষণা করে। পর মাসে তাহারা রায়পুরের রণক্ষেত্রে উপস্থিত হয় এবং সেঘান হইতে তাহারা ক্রমে ক্রমে সমস্ত দেশে ছড়াইয়া পড়ে। জুলাই মাসে গোবৰ্দ্ধন দিকৃপতি নামক এক বাদ সর্দারের অধীনে চারিণত দম্য চন্দ্রকোণ থানার এলাকায় উপস্থিত হয় ; পরে তাহারা কাশীজোড়া, তমলুক, জলেশ্বর, ময়না, নারায়ণগড় প্রভূতি পরগণায় প্রবেশ করতঃ যথেচ্ছা অত্যাচার করিয়া প্রজাদিগকে বিত্রত করিয়া তুলে। চুয়াড়গণ ক্রমশঃ অত্যন্ত সাহসী হইয় উঠে এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সাতখানি বৃহৎ 較

  • Firminger's Midnapore Records, 1763-67, Letter No. 167.

p. 130-131. মেদিনীপুরে চুয়াড় হাঙ্গামা ।