পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল । ఇBరి. এক পরগণা হইতে অন্ত পরগণায় বিতাড়িত হইতে লাগিল এবং প্রজার ক্রমে ক্রমে গৃহে ফিরিয়া আসিয়া চাষ আবাদে মন দিল। জুন মাসের মধ্যে চুয়াড়দিগের সমস্ত আড্ডা দখল করিয়া লওয়া হয়। ইহার পর তাহার। আর দলবদ্ধ হইয়া গ্রামের পর গ্রাম অতিক্রম করিয়া গ্রামবাসিকে দেশ ছাড়া করিতে পারে নাই ; তবে ইহার কিছুদিন পর পর্য্যন্ত তাহারা স্থানে স্থানে দু’একটি নরহত্যা করিয়া বা ব্যক্তি বিশেষের বাড়ীতে ডাকাতী করিয়া কাটাইয়াছিল। t মেদিনীপুরের ভূতপূৰ্ব্ব কালেক্টার ও সেটেলমেন্ট আফিসার জে, সি, প্রাইস সাহেব লিখিয়াছেন, মেদিনীপুরের চুয়াড়-বিদ্রোহ এক নৃশংস অত্যাচারের ইতিহাস। জায়গীর বাজেয়াপ্ত সরদার ও পাইকগণ উন্মত্তপ্রায় হইয়া সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করিতে থাকে ; তাহার। মনে করিয়াছিল, এই সকল অত্যাচারের ফলে সরকার বাহাদুর শেষে বাধ্য হইয়া তাহদের জায়গীর ফিরাইয় দিবেন। জঙ্গল অঞ্চলের সকল দুৰ্দ্দান্ত জাতিই ঐ সকল জায়গীরদারদের সহিত সম্মিলিত হইয়া শেষে ম্যাজিষ্ট্রেটের গৃহপ্রাঙ্গন পর্য্যন্ত অত্যাচার অনুষ্ঠানের ক্ষেত্র বিস্তৃত করিয়া লইয়াছিল। মেদিনীপুরের পুলিশ ও সৈন্তগণ তাহাদিগকে শাসন করিতে পারে নাই—বাহির হইতে সৈন্ত আনাইয়া তাহাদিগকে দমন করিতে হইয়াছিল। দেশে অত্যাচারের অবধি ছিল না । ১৭৯৯ খৃষ্টাব্দের ২৫শে মে তারিখে জেলার কালেক্টর বোর্ডে যে পত্র লিখিয়াছিলেন তাহাতেও দেখা যায় যে, পাইকান জমী বাজেয়াপ্ত করাতেই গোলমাল বাড়িয়া উঠিয়াছিল। চুয়াড়গণ অসভ্য ও ইংরাজ শাসন প্রণালীর সহিত সম্পূর্ণ অপরিচিত ছিল, তাহারা যখন छङ्गल्ली-गइोtलन्न পাইকান জমি ।