পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল । ఇ8సె হইত। এক একটি দলে শত শত সন্ন্যাসী থাকিত এবং তাহার রীতিমত অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া হস্তী, অশ্ব, উর্দু সমভিব্যবহারে তীর্থ হইতে তীর্থাস্তরে ভ্রমণ ক’রয় বেড়াইত। ভাহাদের গমন পথে যে সকল গ্রাম ও নগরাদি পড়িত তাহ লুণ্ঠন করিত এবং ধনীদিগের নিকট হইতে বলপূৰ্ব্বক খাদ্যদ্রব্যাদি আদায় করিয়া লইভ । যাহারা বাধা দিত তাহাদিগকে প্রহার, এমন কি সংহার পর্য্যস্ত করিত। কোম্পানীর প্রথম আমলের কাগজ পত্রাদিতে সন্ন্যাপীদিগের প্রভূত অত্যাচারের বিবরণ বিবৃত আছে। এই সন্নাসীর দল সাধারণতঃ বাঙ্গালার উত্তর ও পূৰ্ব্বাংশেই ভ্রমণ করিত—মধ্যে মধ্যে ঐক্ষেত্র যাইবার পথে মেদিনীপুরের উপর অত্যাচার করিয়া যাইত। , ১৭৭৩ খৃষ্টাব্দে একদল সন্ন্যাসী ঘাটাল মহকুমার অন্তর্গত ক্ষীরপাই গ্রামে প্রবেশ করিয়া উৎপাত আরম্ভ করে। কর্তৃপক্ষের আদেশে মেদিনীপুরের রেসিডেন্ট তাহাদিগের কতকগুলিকে হত, আহত ও বন্দী করেন এবং বাকীগুলিকে দল ভ্ৰষ্ট করিয়া দেশ হইতে তাড়াইয়া দেন। ঐ বৎসর মার্চ মাসে আরও একদল, প্রায় তিন সহস্ৰ সন্ন্যাসী, মেদিনীপুর ও বাকুড়া জেলার সীমান্তে রায়পুর প্রদেশে দেখা দেয়। এই সংবাদ কর্তৃপক্ষের কর্ণগোচর হওয়া মাত্রেই তাহার একদল সৈন্য সমভিব্যহারে কাপ্তেন ফরবেস্ সাহেবকে তাহদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করিতে আদেশ দিলেন এবং স্থানীয় জমিদারগণও র্তাহাদের লোকজন লইয়া তাহার সাহায্য করিতে আদিষ্ট হইলেন । এই সংবাদ পাইয়া সন্ন্যাসীরা ফুলকুসুম হইতে জঙ্গল-মহালে প্রবেশ করিয়া আলমপুর ও গোপীবল্লভপুরের মধ্য দিয়া মারহাট্টাদিগের অধিকারে চলিয়া যায়। ফরবেশ সাহেব তাহাদিগের সাক্ষাৎ পান নাই। তবে পরবর্তী জুন মাসে অন্ততম সৈন্তাধ্যক্ষ কাপ্তেন এডওয়ার্ডস্ তাহাদিগের কয়েক