পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२&३ মেদিনীপুরের ইতিহাস । খান খাইতে বসিয়াছেন, এমন সময়ে মেদিনীপুরের জমিদারী কাছারীয় কোন ভূত্য সখ করিয়া একটি বোমা ছুড়িল । বোমার আওয়াজ শুনিবামাত্র সাহেবের হাত হইতে ছুরি কাটা পড়িয়া গেল ও আওয়াজের কারণ জানিবার জন্ত চাপরাশীর উপর চাপরাশী পাঠাইলেন। আমরা স্কুলে কাজ করিবার সময় প্যান্ট লেনের ভিতর ধুতী পরিয়া কাজ করিতাম। যখনই সিপাহী আসিবে প্যান্ট লুন ও চাপকান ছাড়িয়া ধুতী ও চাদর বাহির করিয়া পরিব স্থির করিয়াছিলাম। সিপাহীদিগের প্যান্ট লেনের উপর বিশেষ রাগ ছিল। কোন পথ দিয়া পলায়ন করিতে হইবে তাহ আগেই ঠিক করিয়। রাখা হইয়াছিল। বিধবা বিবাহ নিবন্ধন আমার বিশেষ ভয় ছিল । বিধবা বিবাহের উপর তাহাদিগের বিশেব বিদ্বেষ ছিল । পরিবার কলিকাতা পাঠাইয়া দিয়া আমি একটি ক্ষুদ্র গলির ভিতর কোন বন্ধুর বাটীতে রাত্রে শয়ন করিতাম। নিদ্রার সমর লাল কোর্তাধারী সিপাহীর স্বপ্ন দেখিতাম । যখনই আমরা শুনিতাম যে সিপাহীরা বাজারে টাকার বদলে মোহর সংগ্ৰহ করিতেছে, তখনই আশঙ্কা হইত যে বিদ্রোহের আর দেরী নাই। একদিন জন্মাষ্টমীর পর্বোপলক্ষে সিপাহীর হাতীর উপর চড়িয়া নিশান উড়াইয়া বাজনা বাজাইয়া কাওয়াজ করিতে করিতে সহরের দিকে আসিতেছিল। আমরা তখন স্কুলে পড়াইতেছিলাম। আমরা মনে করিলাম, সিপাহীরা সহর আক্রমণ করিতে আসিতেছে । স্কুলে হুলস্থূল পড়িয়া গেল, বালকেরা টেবিল ও বেঞ্চের নীচে লুকাইতে লাগিল। Ostrich (অসটচ,) পাখী যেমন চক্ষু বুজিলেই মনে করে যে সে নিরাপদ, তেমনই ছাত্রেরা মনে করিয়াছিল বে, বেঞ্চেয় নীচে লুকাইলেই নিরাপদ। আমরাও প্যান্ট লুন চাপকান পরিত্যাগ করিয়া ধুতী বাহির করিতেছিলাম