পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল । ఫి&చి এমন সময়ে আমরা শুনিলাম যে, সিপাহীর জন্মাষ্টমীর পর্বোপলক্ষে এইরূপ ধূমধাম করিতেছে। ইহা শুনিয়া আমরা প্রকৃতিস্থ হইলাম। ম্যাজিষ্ট্রেট লসিংটন সাহেব ( তখন ম্যাজিষ্ট্রেট ও কালেক্টারের পদ ভিন্ন ছিল, একই ব্যক্তি দুই কাজ করিতেন না ) একদিন ভদ্র বাঙ্গালীদিগের সভা ডাঙ্কাইয়া বলিলেন, যে কেহ আতঙ্কের চিহ্ন প্রকাশ করিবে তাহাকে জেলে দিব। সাহেব উহার অব্যবহিত পূর্বে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ছিলেন। বাঙ্গালীর নাম ভাল করিয়া উচ্চারণ করিতে পারিতেন না । তিনি সভাস্থলে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিদিগের সকলে উপস্থিত আছেন কিনা জানিবার জন্য সভা আহবানকারী পত্রের লেফাপার উপরের লিখিত নাম ধরিয়৷ ডাকিতে লাগিলেন ; তখন জলামুঠার রাজার অছি ধরণীধর রায়ের নাম উচ্চারণ করিতে , না পারিয়া “ড্যানিডর রায়” এবং স্কুল সমূহের ডেপুটী ইনিসূপেক্টার উমাচরণ হালদারের নাম “ওমরচন্দ হাবিলদার” উচ্চারণ করিয়াছিলেন। যখনই রাত্রিতে আমি জাগিরছি তখনই লসিংটন সাহেবের বগী গাড়ীর শব্দ শুনিতে পাইয়াছি। তিনি সমস্ত রাত্রি সহরে এইরূপে চৌকী দিতেন। সংবাদ পত্রে এইরূপ মিথ্যা জনরব লিখিত হইয়াছিল যে, Shekwattee Battalion মেদিনীপুরে বিদ্রোহ করিয়া বৰ্দ্ধমানের দিকে চলিয়া গিয়াছে। মাহ হউক সোঁতাগ্যক্রমে বিদ্রোহ হর নাই। পরিশেষে এই পণ্টন স্থানান্তরিত হওয়াতে উদ্বেগের সকল কারণ চুকিয় গেল । মেদিনীপুরে যে বিদ্রোহ হয় নাই তাহার প্রধান কারণ কর্ণেল সাহেবের রাজপুত উপপত্নী। তাহার কথা সিপাহীর বড় মান্ত করিত। বিদ্রোহের প্রস্তাব হইলে সে সিপাহীদিগকে তাহা করিতে নিবারণ করিত।" • রাজনারায়ণ বস্তুর আত্মচরিত—পৃঃ ১০১-১০৪ ৷