পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল। Ꭶ☾☾ স্থানের ন্যায় উত্তরাংশের মেদিনীপুর, চন্দ্রকোনা, ঘাটাল, ক্ষীরপাই, রাধানগর প্রভৃতি স্থানেও পটুগিজ, ওলন্দাজ, ফরাসী ও ইংরাজদিগের ব্যবসায় চলিয়াছিল। পরে ইংশে ফিগের সহিত প্রতিষোগিতায় সমকক্ষ হইতে না পারিয়া পটুগিজ ও ওলন্দাজ বণিকৃগণ ধীরে ধীরে এ প্রদেশ হইতে কারবার উঠাইয় দেন। তাহদের প্রায় সমস্ত কুঠীগুলি ইংরাজদিগের অধিকৃত হয় । ইংরাজ কোম্পানী যে সময় মেদিনীপুর জেলার অধিকার প্রাপ্ত হন সে সময় এ দেশে কেবল ফরাসীদিগের কারবার চলিতেছিল। জেলার যে কয়েকটি স্থানে ফরাসীদিগের কুঠ ছিল তন্মধ্যে ক্ষীরপাই, মোহনপুর ও খাজুরীর কুঠার নাম উল্লেখ যোগ্য। মোহনপুরে উৎকৃষ্ট সাদা কাপড় এবং ক্ষীরপাইতে সুতার ও রেশমের নানাপ্রকার মূল্যবান বস্ত্রাদি প্রস্তুত হইত। এই সকল কুঠী চন্দননগরের ফরাসী ডিরেক্টর ও মন্ত্রী সভার কর্তৃত্বাধীনে ছিল । প্রত্যেক কুঠতে একজন করিয়া ফরাসী রেসিডেন্ট থাকিতেন ; তিনি দালালদিগকে দাদন দিয়া কাৰ্য্য করিতেন । প্রতি বৎসর লক্ষ লক্ষ টাকার কারবার চলিত। সমর সময় দালালগণ টাকা বাকী ফেলিলে উহা আদায়ের জন্য তাহাদিগকে ইংরাজ গবর্ণযেণ্টের শরণাপন্ন হইতে হইভ । কিন্তু তাহ হইলেও সে সময় উভয় জাতির মধ্যে আন্তরিক সদ্ভাব ছিল বলিয়া যনে হয় না । ১৭৭০ খৃষ্টাব্দে একবার ফরাসীদিগের খাজুরীর কুঠতে বিস্তর চাউল*সংগৃহীত হইতেছে দেখিয়া ইংরাজ রাজপুরুষদিগের সন্দেহ হয় যে, শীঘ্রই এদেশে ফরাসী সৈন্ত আসিবে, সেইজন্যই ঐ চাউল সংগ্ৰহ করিয়া রাখা হইতেছে। সেই বিশ্বাসে ভাহারাও প্রস্তুত হন। ফরাসীদিগের গতিবিধি লক্ষ করিবার জন্য একদল সৈন্য খাজুরীতে এবং একদল সৈন্য প্রথমে কাথিতে ও তৎপরে আমীরাবাদে প্রেরিত