পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇte মেদিনীপুরের ইতিহাস । জন্য দলে দলে কাশ্মিরী, শিখ, মুলতানী, ভাটিয়া প্রভৃতি নানাদেশীয় ব্যবসায়ীরা আসিত । * ইহাতে এ প্রদেশের লোকেরা যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করি ত । পরবৰ্ত্তিকালে কোম্পানীর কৰ্ম্মচারীরা এই কারবারটি একচেটিয়া করায় বিদেশী ব্যবসায়ীগণের এ দেশে আগমনের পথ রুদ্ধ হইয়া যায় । কাৰ্ত্তিক মাস হইতে আরম্ভ করিয়া জ্যৈষ্ঠ মাস পর্য্যস্ত এ প্রদেশে লবণ প্রস্তুতের কার্য্য চলিত। সাধারণতঃ যে সকল জমী বর্ষাকালে জোয়ারের জলে ধৌত হইয়া যাইত সেই লকল লৰণ-প্রস্তুত প্রণালী। জমীতেই লবণ প্রস্তুত হইত। ঐ সকল জমীকে 'চর' বলিত । চরগুলি আবার খালাড়ী’ নামে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত ছিল । প্রত্যেক খালাড়ীতে সাতজন করিয়া লোক নিযুক্ত খাকিয়া গড়ে দুইশত তেত্রিশ মন লবণ প্রস্তুত কবিত। ঐ সকল লোক ‘মলঙ্গী’ নামে অভিহিত হইত। † মহামহোপধ পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়ের আবিষ্কৃত পূৰ্ব্বোক্ত সংস্কৃত পুথিখানিতেও ঐ মলঙ্গীদের নাম ও হিজলীর লবণ ব্যবসায়েয় উল্লেখ দেখা যায়। প্রথম অধ্যায়ে আমরা উক্ত অংশ উদ্ধৃত করিরা দিয়াঠি । হিন্দু রাজত্বেও যে এ প্রদেশে লবণ ব্যবসায় বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিল তাহার সাপক্ষে ইহা একটি বিশিষ্ট প্রমাণ। মলঙ্গীরা সাধারণ প্রথায় মৃত্তিক হইতে লষণায়ু পরিস্রবণ করিয়া উহাকে কাষ্ঠের আগুনে উত্তপ্ত করিত। ফলে জলটি বাপাকারে পরিণত হইত এবং লবণটি পাত্রের নীচে থাকিয়া যাইত। পরে ঐ লবণ একত্রিত করিয়া গুদামে জমা করা হইত। লবণাসু উত্তপ্ত

  • মহারাজা নন্দকুমার,-সত্যচরণ শাস্ত্রী প্রণীত। # Fifth Report—Firminger—Vol. II. 363-372.