পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৪
মেদিনীপুরের ইতিহাস।

 (২) ব্রাহ্মণভূম—কেশপুর ও শালবনী থানায় এই নামেও একটি পরগণা বিদ্যমান।

 (৩) মহাকালঘাট ওরফে কুতুবপুর—এই মহালে তৎকালে একটি দুর্গ ছিল। ডেবরা ও পাঁশকুড়া থানায় কুতুবপুর নামেও একটি পরগণা আছে।

 (৪) রাইন‍্‍—এই মহালটিতে তৎকালে তিনটি দুর্গ ছিল। সুপণ্ডিত বীম‍্স সাহেবের মতে মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত বালেশ্বর জেলার অন্তর্গত রাইবনিয়াগড় ও রাইবনিয়া গ্রামের নামের সহিত এই মহালের সম্বন্ধ আছে। কিন্তু ব্লকম্যান সাহেব অনুমান করেন যে, এই মহালটি মেদিনীপুর জেলার উত্তরাংশে কোন স্থানে অবস্থিত ছিল। আমরাও এই অনুমানের সমর্থন করি। মনোমোহন বাবুও এই মতাবলম্বী। তিনি সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, বর্ত্তমান বরদা ও চিতুয়া পরগণার নিকটবর্ত্তী কোন স্থানে এই মহালটি বিদ্যমান ছিল।

 (৫) মেদিনীপুর—এই মহালের অন্তর্গত মেদিনীপুর নগরে তৎকালে দুইটি দুর্গ ছিল। মনোমোহন বাবু অনুমান করেন, এই দুইটি দুর্গের একটি কর্ণেলগোলা পল্লীতে অবস্থিত বর্ত্তমানে পুরাতন জেল নামে এবং অন্যটি সহরের পশ্চিমাংশে অবস্থিত গোপগ্রামে এক্ষণে বিরাটরাজার গোগৃহ নামে পরিচিত হইতেছে।

 (৬) খড়কপুর-খড়্গপুর নামে খড়্গপুর থানায় একটি পরগণা আছে। এখানেও একটি দুর্গ ছিল। এই মহাল হইতে পাঁচ শত তীরন্দাজ ও মসাল-বাহক রাজসরকারে সরবরাহ করা হইত।

 (৭) কেদারকুণ্ড—এই মহালে তিনটি দুর্গ ছিল। সবঙ্গ ও ডেবরা থানায় এই নামে একটি পরগণা আছে।