পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$urür মেদিনীপুরের ইতিহাস । তাহা বলা সহজ নহে। অত্যাচার, জুলুম, নৃশংসতা প্রভৃতি অপরাধের সংখ্যা কম হইলেও, জাল, জুয়াচুরী প্রভৃতির সংখ্যা বৃদ্ধি পাইয়াছে। মদ্যপান, বেখাবৃত্তি প্রভৃতি অপকাৰ্য্য এই জেলায় বেশী না থাকিলেও ভবিষ্যতে বৃদ্ধি পাইবার সম্ভাবনা আছে। সাধারণতঃ দেখা যায়, এই জেলার বেশীর ভাগ লোকেই পূৰ্ব্বকালের সরলতা ও পবিত্রত রক্ষা করিয়া আসিতেছে । হিন্দু চরিত্রের বিশেষত্ব ভাহাদের জীবনে বিশেষরূপে পরিদৃপ্তমান। পার্শ্ববৰ্ত্তী জেলাগুলির অধিবাসীদিগের সহিত তুলনায় এই জেলার লোকে বিবাদ বিসম্বাদ বা বিরক্তিকর কার্য্য কমই করিয়া থাকে । মামলা-মোকদ্দমা করিবার প্রবৃত্তিও তাহাদের কম । তবে আজকাল দেখা যায় যে, কাহারও কাহারও মধ্যে আদালতের দুনীতিগুলি ধীরে ধীরে প্রবেশ করিতেছে।” “প্রশ্ন –নুতন আইন প্রবর্তিত হইয়া মস্তের উপর কর ধার্য্য হইবার পর হইতে মদ্যপায়ীর সংখ্যা পূৰ্ব্বাপেক্ষ কম হইয়াছে কি ? উত্তর —মদ্যপায়ীর সংখ্যা কম না হইয়া পূৰ্ব্বাপেক্ষা বৃদ্ধি পাইয়া থাকিতে পারে ; কিন্তু কর ধাৰ্য্য হইবার ফলেই যে এরূপ হইয়াছে,তাহা নহে । লোক-সংখ্যা বৃদ্ধিই ইহার প্রধান কারণ। এ দেশের উচ্চ জাতির মধ্যে মদ্যপান এখনও অত্যন্ত হীন কাৰ্য্য বলিয়া পরিগণিত হইয়া থাকে। অল্পসংখ্যক ভদ্রলোক যাহারা উহাতে আসক্ত হইয়াছেন তাহার যতদূর সম্ভব গোপনেই উহা পান করিয়া থাকেন। দেখা যায়, নিয়শ্রেণীর যে সকল লোকের মধ্যে এই পাপ-স্রোত প্রবাহিত হইয়াছে তাহারা ক্রমশঃই অধিকতর চরিত্রহীন ও ধৰ্ম্মে আস্থাশূন্ত হইয়া পড়িতেছে। এতদূব্যতীত এরূপ আরও অনেক কারণ আছে, যে জঙ্ক আমার মনে হয় যে, যদি সম্ভবপর হয়, তাহ হইলে মস্ত বিক্রয় বা প্রস্তুত সম্পূর্ণরূপে রহিত মদ্য পান ।