পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ >8 মেদিনীপুরের ইতিহাস । ন ; তাহারা দেশীয় বা বিদেশীয় যখন যাহার অর্থে প্রতিপালিত হয় তখন তাহারই অনুরক্ত থাকে। এইজন্ত তাহারা যে গবর্ণমেণ্টের উপর অসন্তুষ্ট আছে, একথা বলা যায় না । দেশাচার এবং অবস্থার হীনতাই তাহাদিগকে এরূপ করিয়াছে। ঐ সকল লোক সাধারণতঃ পাইকের কাৰ্য্য করে।” “প্রশ্ন —আপনি কি মনে করেন যে, গবর্ণমেণ্ট যদি এ দেশের লোককে নূতন নূতন উপাধি বিতরণ করিয়া বা অন্ত কোনরূপে সন্মানিত করেন, তাহা হইলে রাজসরকারের সহিত প্রজাবর্গের ঘনিষ্টতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইবে ? উত্তর ঃ—আমার বিশ্বাস, খাট ইউরোপীয় প্রথা অনুসারে এ দেশে কোন বিধি-ব্যবস্থা চালাইতে গেলে তাহা ব্যর্থ হইবে ; লোকে তাহী বুঝিবে না। রাজশক্তিকে উচ্ছেদ করিবার কথা এ দেশের লোক স্বপ্নেও ভাবে না । আমার অকুমান, রাজ-সরকার যদি তাহাদেব উপর ভয়ানক রকমের কোন একটা অত্যাচারও করেন, তাহাতে ও এই জেলার অধিবাসীরা কোন রূপ বাধা প্রদান করিবে না বা ব্ৰাজশক্তির বিরুদ্ধে দাড়াইবার জন্য কোন প্রকার জনতা বা আলোচনা পর্যন্ত করিবে না । সুতরাং গবর্ণমেণ্টের সঙ্গে ঘনিষ্টতা বৃদ্ধি এই কথাট। তাহাদের নিকট বোধগম্যই নহে । উপাধি বিতরণের দ্বারা বা অন্ত কোনরূপে দেশীয় লোকদিগকে সম্মানিত করিবার প্রথা প্রবৰ্ত্তিত করিতে পারিলে মন্দ হয় না। কিন্তু উহ! কি করিয়া কাৰ্য্যকরি করা যাইতে পারে তাহা আমি স্থির করিতে পারিতেছি না । আমাদের আত্মসন্মান জ্ঞানের সঙ্গে এদেশের লোকের আত্মসন্মান জ্ঞানের একটা পার্থক্য আছে । ইউরোপে রাজা প্রজার মধ্যে অবস্থার বৈষম্য থাকিলেও পরস্পরের ভাবের একটা উপাধি-বিতরণ প্রথ। ।