পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইংরাজ শাসনকাল । ఫిసె& সামঞ্জস্ত আছে। উভয়ের দোষগুণ একই প্রকারের এবং উভয়ের আশা ও আকাঙ্ক্ষা একই দিকে ধাবিত হয়। কিন্তু এদেশের অবস্থা স্বতন্ত্র। এখানকার লোকে জানে যে, আমাদের সঙ্গে তাহাদের মনের মিল হইতে পারে না । তাহদের সঙ্গে আমাদের ভাবেরও কোনরূপ সামঞ্জস্ত নাই । তাহার এরূপ শত সহস্র নৈতিক ও সামাজিক অবস্থার মধ্যে অবস্থান করে যে, সেখানে পোছাইয় তাহাদের সংস্রবে আসা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। এরূপ অবস্থায়, যদি আমরা তাহদের সংস্রবেই আসিতে না পারিলাম তাহা হইলে তাহাদের যোগ্যতার বিষয় কি করিরা জানিতে পারিফ ? আর তাহা না পারিলে কাহাকেই বা উপাধিতে ভূষিত করিব ? অন্তপক্ষে, দেশের মধ্যে এমন কোন শ্রেণীর লোকও নাই যাহাদের মধ্যস্থতায় এ কার্য্য হইতে পারে। জেলার মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ জমিদার যিনি, তিনি এদিকে ভয়ানক গৰ্ব্বিত লোক হইলেও নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্ত কোন সাহেবের সামান্ত একজন চাকরের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করিতে অস্বীকৃত নহেন। এরূপ ঘটনা নিত্য দেখা যায় এবং তাহ দেখিরা দুঃপিতও হই, কিন্তু উপায় নাই । বৰ্ত্তমানকালে মহাজনেরাই এদেশের অর্থশালী ব্যক্তি। কিন্তু তাহার হালের বড় মাকুষ। তাহার উপাধি লইয়া কি করিবে ? তাহাদিগকে উপাধি দেওয়ার অর্থ দেশের লোকের নিকট তাহাদিগকে হাস্তাপ করা। আমৱা এক্ষণে যাহাঁদের স্থান গ্ৰহ করিয়াছি সেই সকল মুসলমান শাসনকৰ্ত্তাগণ আর হিন্দু-জমিদারগণই দেশের প্রকৃত বড়লোক ছিলেন । কিন্তু এই উভয় শ্রেণীরই এখন অবস্থাস্তর ঘটিয়াছে। ইহা ব্যতীত অন্য আর যে এক শ্রেণীর লোক এদেশে আছে তাহারা আমাদেরই কৰ্ম্মচারী বা ভূত্যবর্গ। তাহাদিগকে সন্মানিত করিয়া কি হইবে ?