পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯৬ মেদিনীপুরের ইতিহাস । সৈনিক শ্রেণীর মধ্য হইতে কাহাকেও সম্মানিত করা চলে না । কারণ এদেশের লোক সুবাদারের উচ্চতর পদে উন্নীত হইতে পরিবে না এবং আমি যতদূর জানি, তাহাদিগকে তাহার অধিক অধিকার না দেওয়াই উদ্দেশু । অধিকন্তু ইউরোপীয়ানদিগের নিকট কিরূপ হীন হইয় থাকা উচিত তাহাই তাহাদিগকে শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে। এরূপ অবস্থায় তাহদেরও উপাধি লাভের সম্ভাবনা নাই । শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের মধ্যে মৌলভী ও উকীল প্রভৃতিকে উপাধি প্রদান করা যাইতে পারে, কিন্তু এদেশের লোকের নিকট ঐক্লপ শৃষ্ঠ উপাধির কোন মূল্য নাই। উপাধির সঙ্গে জায়গীর দান অথবা সৈঙ্গ পরিচালনার অধিকার প্রদান প্রাচ্য দেশের প্রচলিত প্রথা। আমার মতে, দেশীয় লোকের মধ্যে উপাধি বিতরণ প্রথা প্রবর্তিত করিতে হইলে, উপাধির সঙ্গে সঙ্গে জায়গীর অথবা বৃত্তিদানের ব্যবস্থা করাও আবগুক ।” সত্যনিষ্ঠ, কৰ্ত্তব্যপরায়ণ রাজকৰ্ম্মচারী ষ্ট্রেট সাহেবের লিখিত উপরোদ্ধত বিবরণ হইতে শতবর্ষ পূৰ্ব্বে মেদিনীপুর জেলার শিক্ষা, সমাজ ও রাজনীতি প্রভৃতির অবস্থা কিরূপ ছিল তাহাঙঅনেকটা বুঝা যায়। ইহার পর শতবর্ষ মধ্যে ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের সহিত ঘনিষ্ঠতর সম্বন্ধে আবদ্ধ হওয়ার ফলে এদেশের অবস্থার কিরূপ পরিবর্তন ঘটিয়াছে, শিক্ষা, সমাজ, চরিত্র, মনুষ্যত্ব প্রভৃতিতে এদেশবাসী কোনস্থানে আসিয়া দাড়াইয়াছে তাহা এই গ্রন্থের দ্বিতীয় ভাগে পৃথক পৃথকৃ ভাবে বিস্তারিভ আলোচনা করা হইবে । এই শত বৰ্ষই উনবিংশ শতাব্দী । মানবেতিহাসের স্মরণীয় শতাব্দী। এই শতাব্দী যে সকল প্রবাহ ও প্রভাব লইয়া উনবিংশ শতাব্দী।