পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ভৌমিক বিবরণ।
১৫

 (৮) গাগনাপুর—ব্লক্‌ম্যান ও বীম‍্‌স সাহেব এই মহালটিকে দাঁতন থানার বর্ত্তমান গগনেশ্বর পরগণা বলিয়া বিবেচনা করেন। কিন্তু গাগনাপুর নামে পাঁশকুড়া থানায় এখনও একটি পরগণা আছে। মনোমোহন বাবু সিদ্ধাস্ত করিয়াছেন, আমরাও বিবেচনা করি, এই পরগণাটিই সেই প্রাচীন মহালের নিদর্শন।

 (৯) কাশীজোড়া—ডেবরা, পাঁশকুড়া প্রভৃতি থানায় এই নামে একটি বৃহৎ পরগণা আছে। এই মহালটি হইতে দুই শত অশ্বারোহী, আড়াই হাজার তীরন্দাজ ও মসালধারী সৈন্য রাজসরকারে সরবরাহ করা হইত।

 (১০) সবঙ্গ—এই নামেও একটি পরগণা আছে। এই মহালেও একটি দুর্গ ছিল।

 (১১) তমলুক—তমলুকেও একটি দুর্গ ছিল। তমলুক নামেও একটি পরগণা আছে।

 (১২) বাজার—সম্ভবতঃ মেদিনীপুর সহরের দক্ষিণ-পূর্ব্বে অবস্থিত ঢেঁকিয়া-বাজার পরগণাটিই প্রাচীন মহালের পরিচয় দিতেছে। মনোমোহন বাবুও ঐরূপ অনুমান করেন।

 (১৩) দ্বারশরভূম—বীম‍্স সাহেব অনুমান করেন, এই মহালটি সুবর্ণরেখা হইতে আরম্ভ হইয়া রসুলপুর নদী পর্য্যন্ত সমুদ্রতীরবর্ত্তী লবণাক্ত ভূমিখণ্ডকে লইয়াই গঠিত; কিন্তু মনোমোহন বাবু সে অনুমানের খণ্ডন করিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, এই মহালটি এই জেলার পশ্চিমাংশে দক্ষিণে সুবর্ণরেখা হইতে উত্তরে কংসাবতী নদী পর্য্যন্ত বিস্তৃত এবং বর্তমান গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম ও বিনপুর থানার অধিকাংশই এই মহালের অন্তভূর্ত ছিল।

 (১৪) নারায়ণপুর ওরফে খান্দার—এই মহালেও একটি দুর্গ