পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wDo8 মেদিনীপুরের ইতিহাস । গ্রন্থেই তাম্রলিপ্তের ঐ কপালমোচন সরোবরটির উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু বহুকাল হইতে উহার অস্তিত্ব লোপ হইয়াছে। কালসহকারে রূপনারায়ণ নদের স্রোত প্রবাহে উপযুক্ত স্থানটি বিলুপ্ত হইয়াছে। কিন্তু এখনও প্রতিবর্ষে বরুণী স্থান উপলক্ষে বহু সংগক নরনারী উক্ত স্থানটির সন্ধান করিতে না পারিয়া বর্গভীমা দেবীর মন্দিরের পাদদেশস্থ নদ সলিলে অবগাহনাদি পুণ্যকাৰ্য্য সম্পাদন করিয়া থাকে। তমলুকে প্রতি বৎসর মকর সংক্রান্তী, মাঘীপূর্ণিমা, মহাবিষুব সংক্রান্তি এবং অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে মেলা হয় এবং ঐ উপলক্ষে বহু যাত্রীর সমাগম হইয়া থাকে । শ্বেতাম্বর জৈনদিগের একখানি প্রাচীন প্রধান ধৰ্ম্মগ্রন্থ ভগবতী স্বত্রে একটি বৃত্তান্ত আছে – “ইহৈব জংবুদ্দীবে দীবে ভরহে বা ে তামলিী নামং নগরী হোথা তথুণং তামলিত্তীএ নয়রীএ তামলী নামং মোরিয় পুত্তে গাহাবই হোস্থা।” অর্থাৎ এই জম্বুদ্বীপে ভারতবর্ষে তামলিতী নামক নগরী ছিল, সেই নগরে তামলী নামক মোরিয় বংশীয় গৃহপতি ছিল । ঐতিহাসিক রমাপ্রসাদ চন্দ মহাশয় এ সম্বন্ধে লিখিয়াছেল, “সংস্কৃত মৌর্য্য শব্দেয় পালি ও প্রাকৃত আকায় মোরিয়, এবং ময়ুর শব্দের পালি ও প্রাক্কত আকার মোর। বিষ্ণু পুরাণের টীকায় মেীয্য শব্দের ব্যুৎপত্তি লেখা হইয়াছে, মুরার অপত্য, অর্থাৎ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য মুর নামী দাসীর পুত্র বলিয়া মৌর্য্য নামে পরিচিত ছিলেন । চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য যেই হউন, পালি মহাপরিনিব্বাণ সত্রে দেখা যায়, পিপ ফলিবন নামক স্থানে মোরিয় নামক ক্ষত্রিয়গণ ছিল. তাহারা শাক্যমুনিয় চিতাভষ্মের এক হিশ্ব পাইয় তাহার উপর স্ত,প প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিল। তগবতী স্বত্রের তমলুকের মোরিয় বংশীয় গৃহপতি ।