পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । ○●● তামলীর আখ্যায়িক সপ্রমাণ করে প্রাচীন তামলিন্তী নগরীতেও মোরিয় বংশীয় গৃহস্থের বসবাস ছিল । এতদ্দেশের প্রচলিত একটি জনশ্রুতিও এই মত সমর্থন করে । জনশ্রুতিটা এই—ময়ূরধ্বজ নামক তমলুকের একজন রাজা ছিলেন । এই ময়ূরবংশীর গরুড়ধ্বজ নামক একজন রাজা বর্গভীমা দেবীর মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । পুরাণে এবং মুদ্রারাক্ষস নাটকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য শূদ্র বলিয়া পরিচিত। কিন্তু বৌদ্ধগ্রন্থে তিনি মোরিয় বংশীয় ক্ষত্রিয় বলিয়। কথিত হইয়াছেন । যদি বৌদ্ধ মতই ঠিক হয় তবে পাটলীপুত্রের মৌর্য্য রাজবংশের সহিত তামলিত্তীর মোরিয়-পুত্ৰ’গণের সম্বন্ধও অকুমান করা যাইতে পারে।” * তমলুকের বর্গভীমা দেবীর নামও অনেক প্রাচীন গ্রন্থাদিতে দৃষ্ট হয়। কাহার দ্বারা এবং কতদিন হইল যে ঐ মূৰ্ত্তিটি স্থাপিত হইয়াছে তাহ। সঠিক বলা যায় না। বর্গভীমা দেবীর প্রকাশ সম্বন্ধে এ প্রদেশে তিনটি কম্বদন্তী প্রচলিত আছে। তমলুকের প্রাচীন ও আধুনিক বিবরণ’ নামক গ্রন্থে আছে— “নরপতি তাম্রধ্বজের ( কেহ কেহ বলেন গরুড়ধ্বজের ।* ) নিয়োজিত ধীবর পত্নী প্রত্যহ রাজ সংসারে মৎস্ত প্রদান করিয়া আসিত। সে একদিন বন মধ্যস্থ একটি সংকীর্ণ পথে রাজবাটীতে মৎস্ত লইয়া যাইতেছিল, দেখিল, পার্শ্বে একটি ক্ষুদ্রায়তন বারিপূর্ণ গৰ্ত্ত রহিয়াছে। তাহাদের জাতীয় স্বভাবাকুসারে তাহ হইতে কিয়ৎপরিমাণ সলিল গ্রহণ করিয়া মৎস্যের উপর বিকীর্ণ করিলে মৃত মৎস্ত জীবনপ্রাপ্ত হইল। ক্রমে এই বর্গভীমা দেবী ।

  • মেদিনীপুর সাহিত্য সম্মিলনের অষ্টম অধিবেশনের সভাপতির অভিভাষণ । মামলী-চৈত্র, ১৩২৭, পৃষ্ঠা ১৪২ ৷

+ District Gazetteer—Midnapore, p. 322. ২০