পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నిe s মেদিনীপুরের ইতিহাস । বাৰ্ত্ত নরপতির কর্ণগোচর হইলে তিনি একদিন তাহ দৰ্শন করিতে অভিলাষ করেন। পরে তিনি একদিন ধীবরীর সমভিব্যাহারে উপস্থিত হইয়া দেখেন যে, তৎপ্রদর্শিত স্থলে একটি বেদী ও তদুপরি প্রস্তরময়ী দেবীমূৰ্ত্তি রহিয়াছেন। তাম্ৰধ্বজ সেই সময় হইতে র্তাহার পূজাদির ব্যবস্থা করিয়া দেন ।” কেহ কেহ বলেন যে, কৈবৰ্ত্ত রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কালভূঞা কর্তৃক এই দেবীমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। তমলুকের রাজাসন প্রাপ্ত হইয়া তিনি এই দেবীমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করাইয়া প্রতিষ্ঠা করেন। stoia Hito &f=fa ‘Statistical Account of Bengal’ Rio গ্রন্থে আর একটি কিম্বদন্তীর উল্লেখ করিয়াছেন । তিনি লিথিয়াছেন যে, ধনপতি বণিক্‌ বাণিজ্যার্থে সিংহল গমন কালীন তমলুকে আগমন করিয়াছিলেন । তিনি এইস্থানে অবস্থানকালে জনৈক ব্যক্তির হস্তে স্বর্ণের ভৃঙ্গার দেখিয় তাহাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, সে কোথা হইভে উহ! প্রাপ্ত হইয়াছে । তাহাতে সে ব্যক্তি বলে যে, নগর নিকটস্থ জঙ্গল মধ্যে একটি কুণ্ড আছে, তাহাতে পিত্তলের দ্রব্য ডুবাইতে স্বর্ণময় হইয়৷ গিয়াছে। তাহ শ্রবণ করিয়া ধনপতি ঐ স্থানের বাজারের সমস্ত দ্রব্য ক্রয় করিয়৷ সেই কুণ্ডের জলে ডুবাইলে সে গুলি স্বর্ণময় হইয়া যায়। তিনি পেই সমস্ত দ্রব্য লইয়। সিংহলে গমন করেন ও তথার সে গুলি বিক্রয় করিয়া প্রচুর অর্থ প্রাপ্ত হন। বাড়ী প্রত্যাগমন কালীন ধনপতি সেই Nনে পুনরায় আসিয়া বর্গভীমা দেবীর প্রতিষ্ঠা ও মন্দির নির্মাণ করিয়া দিয়া যান । বর্গভীমা দেবীয় প্রকাশ সম্বন্ধে এই সকল কিম্বদন্তীর আলোচনা করিয়া হান্টার সাহেব তাহার ‘Orissa’ নামক গ্রন্থে লিখিয়াছেন যে, পুরীতে জগন্নাথ দেবের প্রকাশ হওয়া সম্বন্ধে যেরূপ কাহিনী প্রচলিত