(২৩) করাই:—বীমস্ সাহেবের মতে ইহা এই জেলার অন্তর্গত কেশিয়াড়ী পরগণা, কিন্তু মনোমোহন বাবু ইহাকে বালেশ্বর জেলার অন্তর্গত কুড়াই পরগণা বলিয়া সিদ্ধাস্ত করেন।
(২৪) বারপদা বা পারবদা:—উড়িষ্যার গড়জাত মহালের অন্তর্গত ময়ুরভঞ্জ-রাজ্য।
(২৫) রেমনা:—বালেশ্বর জেলায় এক্ষণে এই নামে একটি প্রাচীন গরাম দৃষ্ট হয়।
(২৬) বালকুশী বা বালিকুটী:—মনোমোহন বাবু সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, উহা বর্ত্তমান বালেশ্বর জেলার অন্তর্গত সোরো পরগণা।
(২৭) বাঁসদ বা বাসণ্ডা:—বালেশ্বর জেলার অন্তর্গত। জলেশ্বরের নিকট বাঁসডিহা বা বাঁসদা নামে একটি গ্রাম আছে।
(২৮) পিপ্লী বা বিব্লি:—বালেশ্বর জেলার অন্তর্গত পিপ্লী-সাহা বন্দর। ইহা এক সময়ে সুবর্ণরেখার একটি প্রধান বন্দর ছিল। ডিব্যারোর এবং রেনেলের প্রাচীন মানচিত্রে উহা পোপলাই (Popolai) ও পিপ্লিপত্তন (Piplipatan) নামে উল্লিখিত আছে।
পূর্ব্বে উল্লেখ করিয়াছি, মাদলাপাঞ্জীতে উৎকলের প্রাচীন রাজস্ববিভাগের মধ্যে তমলুকের নাম নাই; কিন্তু আইন-ই-আকবরীর মহাল তমলুক দেশ।
বিভাগে তমলুকের নাম আছে। সুতরাং তৎপূর্ব্বেই যে তাম্রলিপ্ত-রাজ্যের স্বাতন্ত্র্য নষ্ট হইয়া গিয়াছিল, তাহা অনুমান করা অযৌক্তিক নহে। কিন্তু তাহা হইলেও প্রায় ঐ সময়েই রচিত জগমোহন পণ্ডিতের “দেশাবলী-বিবৃতি” নামক সংস্কৃত পুঁথিতে দেখা যায় যে, তখনও আদিগঙ্গার পশ্চিমে সমস্ত দেশকে লোকে তমলুক দেশ বলিত। বেহালা, বঁড়িশা, মণ্ডলঘাট প্রভৃতি এ সমস্তই তমলুক দেশের অন্তর্গত ছিল। মহামহোপাধ্যায়