পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●)。 মেদিনীপুরের ইতিহাস । বৌদ্ধযুগের মূৰ্ত্তি তাহ নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে। দেভোগের নবরত্ব ও দীর্ঘিকা মাজনামুঠার জমিদার প্রাতঃস্মরণীয় রাজা যাদধরাম রায়ের পুত্রবধূ রাজা কুমারনারায়ণের পত্নী রাণী সুগন্ধা কর্তৃক অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ঘাটাল মহকুমার মধ্যে চন্দ্রকোণা বিশেষ প্রাচীন স্থান। হিন্দুরাজত্বে ভানদেশের মধ্যে চন্দ্রকোণা একটি প্রধান ও প্রসিদ্ধ নগর ছিল, সে কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি। ১৬৭ খৃষ্টাব্দে অঙ্কিত ভ্যালেণ্টীনের মানচিত্রেও চন্দ্রকোণা (Siandercona ) শিলাবতী নদীর তীরবর্তী একটি সমুaিs’ম নগর বলিয়া চিত্রিত হইয়াছে। হিন্দু রাজাদের অনেক কীৰ্ত্তিই এই স্থানে ছিল । কথিত আছে, সে সময় চন্দ্রকোণা সহরে বাহারটি বাজার ছিল। কিন্তু এখন আর তাহার সে ঐ সম্পদ নাই । চন্দ্রকোণার গৌরবচিহ্ন প্রায় সমস্তই অস্তহিত হইয়াছে। বর্তমানে কেবল কতকগুলি প্রস্তর-স্তুপ ও পরবত্তিকালে নিৰ্ম্মিত ছ'চারিটি মন্দির বক্ষে ধারণ করিয়া চন্দ্রকোণা আপনার অতীত-গৌরবের পরিচয় প্রদান করিতেছে । চন্দ্রকোণার রাজাদিগের দেবতা ও ধৰ্ম্মের প্রতি বিশেষ তক্তি ছিল । তাহারা ঐ স্থানে অনেক দেবমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। দ্বাদশদ্বারী গড় নামে তাহাদের প্রাচীন দুর্গটার ভগ্নাবশেষ অস্থাপি যেস্থানে দৃষ্ট হয়, উহারই অনতিদূরে তাহদেরই প্রতিষ্ঠিত মল্লেশ্বর ও উজন্নাথ নামে দুইটি শিবলিঙ্গ এখনও রহিয়াছেন । এইরূপ কিম্বদন্তী, মুসলমান সেনাপতি কালাপাহাড় যখন প্রবল পরাক্রমে উড়িষ্যা বিজয় করিতে যাইতেছিলেন, যখন সেই বিধৰ্ম্মী সেনাপতি হিন্দু দেবদেবীর প্রতি বীতশ্রদ্ধ ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোণ সহর । ময়েশ্বর ও উজল্লাখ মহাদেব ।