পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । ৩২৭ মেদিনীপুর সহরের মধ্যে জগন্নাথ, শীতলা ও হনুমান জীউর মন্দির তিনটি সমধিক প্রসিদ্ধ। জনশ্রুতি, মেদিনীপুর যে সময় উৎকলের রাজাদিগের অধিকার-ভুক্ত ছিল, সেই সময় এইস্থানে ཁི་རྭཧཱ་ཤག་ উৎকলাধিপতি গঙ্গবংশীয় কোন রাজা জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। কংসাবতী নদীর জল প্রবাহে প্রাচীন মন্দিরটা ভগ্ন হইয়া যাওয়ায় প্রায় শত বৎসর হইল বড় বাজারের মহাজনগণ বর্তমান মন্দিরটি নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন। এই মন্দিরট সহরের দক্ষিণ প্রান্তে.যে স্থানে রাণিগঞ্জ রোড, উড়িষ্যা ট্রাঙ্ক রোল্ড, কলিকাতা প্রভিনৃসিয়াল রোড ( উলুবেড়িয়া রাস্তা) ও পুরাতন বম্বে রোড নামে চারিটি প্রসিদ্ধ রাজপথ মিলিত হইয়াছে সেই স্থানে অবস্থিত । শীতলা দেবীর মন্দিরটিী মহারাষ্ট্রীয়দিগের সময়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ঐ মন্দিরট বড় বাজারের কেন্দ্রস্থলে এবং হকুমানজীউর মন্দিরটা মীর বাজার নামক পল্লীতে অবস্থিত। আনুমানিক দেড়শত বৎসর পূৰ্ব্বে উত্তর পশ্চিমাঞ্চল হইতে জনৈক রামোপাসক সন্ন্যাসী এই সহরে আসিয়া কিছুদিন অবস্থান করিয়াছিলেন। তিনি সাধারণের নিকট হইতে অর্থ ভিক্ষা করিয়া হনুমানজীউর মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করিয়া দিয়া যান। মেদিনীপুর সহরের উত্তর প্রাস্তে হবিবপুর পল্লীতে এবং সহরের দক্ষিণপ্রান্তে কংসাবতী নদীর তীরে নুতন বাজার নামক পল্লীতে প্রাচীন পঞ্চমুঙী আসনের উপর প্রতিষ্ঠিত দুইটি কালীমূৰ্ত্তি আছেন। সম্প্রতি কয়েক বৎসর হইল মেদিনীমাতার সুসস্তান, মধ্য প্রদেশের অঞ্চতম ম্যাজিষ্ট্রেট ও কালেক্টর শ্ৰীযুক্ত বীরেন্দ্রনাথ দে আই, সি, এস মহোদয় নিজ ব্যয়ে হবিবপুরের কালীর মন্দিরটা সংস্কার করিয়া দিয়াছেন। সহরের মধ্যস্থিত বিবিগঞ্জ নামক পরীতে দশভূজা দুর্গ দেবীর ও