পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী। HIV আয়তন বিশিষ্ট একটি বৃহৎ দীঘিকা আছে এবং উহার তীরে নয়টি চূড়াবিশিষ্ট একটি জীর্ণ মন্দির আছে। মন্দিরটার পার্শ্বে দুইটি পৃথক পৃথক্ ইষ্টক নিৰ্ম্মিত বাট বিদ্যমান। একটির মধ্যে দশভূজা, জয়দুর্গ। ও গৌরী নামে তিনটি ধাতুময়ী ভগবতী মূৰ্ত্তি আছেন এবং অন্তটাতে প্রস্তরময় রাধাপ্তাম, তামসুন্দর ও মদনমোহন এবং ধাতুময়ী রাধিকা ও রাঙ্গরাজেশ্বরী মূৰ্ত্তি আছেন। এই গড়ট এক্ষণে নাড়াজোলাধিপতির সম্পত্তি। তাহারই ব্যয়ে দেবদেবীগুলির প্রত্যহ প্রচুর অন্নভোজ দেওয়া হয়। অতিথি, অভ্যাগত ও বহু সংখ্যক দরিদ্র প্রত্যহ সেই প্রসাদী অন্ন প্রাপ্ত হইয়া থাকে। আবাস গড়ের উত্তরে দুই ক্রোশ স্থান মধ্যে শালবণী থানায় কর্ণগড় নামে আর একটি গড় আছে। পুৰ্ব্বে ইহার কথা একবার উল্লেখ করা হইয়াছে। এই গড়ট প্রায় এক ক্রোশ ব্যাপী ছিল এবং উহার বহির্ভাগ সদর মহাল ও অন্তর্ভাগ অন্দর মহাল নামে দুই বিভাগে বিভক্ত ছিল । সদর মহাল রাজকৰ্ম্মচারী ও সৈন্যদিগের অবস্থানের জন্য এবং অন্দর মহাল কুল দেবতা ও অন্তঃপুরিকা স্ত্রীলোকদিগের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। এই জেলার পশ্চিমদিগ্‌বিভাগের উচ্চ ভূমি ক্রমে নিয় হইয়। যেস্থানে প্রস্তর লক্ষণ ত্যাগ করিয়৷ মৃত্তিক লক্ষণ প্রাপ্ত হইয়াছে, এইরূপ সন্ধিস্থলেই এই রাজবাটী বিনিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। সেই জন্য এই গড়ের তিন পাশ্বে জঙ্গল এবং পূৰ্ব্বপাশ্বে আবাস ও কৃষিযোগ্য ভূমি দেখিতে পাওয়া যায়। জঙ্গল খণ্ড হইতে জলস্রোত প্রবাহিত হইয়া নদীর আকার ধারণ করতঃ যে স্থান দিয়া বহমান হইয়াছে এমন স্থানে কর্ণগড়ের অন্দরমহাল প্রতিষ্ঠিত। এই ক্ষুদ্র স্রোতস্বতীর নাম পারাং নদী। পারাং নদীর স্রোত গড়ের দুই দিক দিয়া প্রবাহিত হইয়া আবার একত্র কৰ্ণ গড় ।