পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । లిg') বর্তমান আছে এবং তৎসন্নিহিত একখণ্ড ভূমি এখনও চাদনীচক নামে অভিহিত হইতেছে। দীঘির উত্তর ও পশ্চিম পাশ্বের পাড়ের উপরিভাগে চারিটি দেবমন্দিরের ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয়। দক্ষিণ পাশ্বেও তিনটি শ্রেণীবদ্ধ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত দেউল ছিল । এই তিনটি দেউলের ভগ্নাবশেষ তিনটি কঙ্করস্তরমণ্ডিত বৃহৎ মৃত্তিকাস্তুপের ন্যায় প্রতীয়মান হইত। দৈব-প্রভাব-ভীতি লোকের মনে অত্যন্ত প্রবল থাকায় বহুকাল কোন ব্যক্তি ঐ স্থানের এক খানি প্রস্তর গ্রহণ বা স্থানচ্যুত করিতে সাহস না করায় ঐ স্ত,পীকৃত মৃত্তিকার অভ্যস্তরে মন্দিরের অবশিষ্টাংশ যে কিরূপ ছিল তাহ জানিবার কোন উপায় ছিল না ; কয়েক বৎসর হইল নিকটবর্তী ধীতপুর গ্রামের জমিদার মহাশয়ের একটি নুতন বাট প্রস্তুত করিবার জন্য পূৰ্ব্বোক্ত তিনটি স্তপের মধ্যে সৰ্ব্বোত্তরাংশের স্তুপটি খনন করিতে প্রবৃত্ত হন। সেই সময় দেখা গিয়াছিল যে, একটি সুগভীর সমচতুস্কোণ বৃহদায়তন প্রস্তর স্তম্ভের উপর উক্ত মন্দিরট প্রতিষ্ঠিত ছিল। ঐ স্তম্ভ বা মঞ্চের কোণচতুষ্ঠয় লৌহপাত দ্বারা সংযোজিত ছিল এবং প্রস্তরগুলি অতি সুন্দরভাবে বিন্যস্ত হইয়াছিল। ঐ সকল প্রস্তর মধ্যে একটি পাষাণময়ী দীর্ঘকায়া ভগ্ন হস্তপদ দশভূজ মূৰ্ত্তি ও একথও শিলালিপি পাওয়া গিয়াছিল। বহুকালের লিখিত প্রস্তর ফলকটির অক্ষরগুলি ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়া যাওয়ায় এক্ষণে উহার পাঠোদ্ধার করা দুঃসাধ্য হইয়াছে। জমিদার মহাশয়ের ধাতপুর ভবনস্থ কুলদেবতা রঘুনাথ জীউর মন্দিরের ভিত্তির উপরিভাগে উক্ত প্রস্তর ফলকখানি সংস্থাপিত করিয়াছেন। প্রস্তরময়ী মূৰ্ত্তিটাও উক্ত মন্দিরে রক্ষিত হইয়াছে। কথিত আছে, ষোলাদীঘির মধ্যস্থলে একটি মন্দির আছে এবং সেই মন্দিরে এক দেবতা আছেন। ঐ মন্দির ও দেবতা সম্বন্ধে অনেক অদ্ভুত কাহিনী