পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । ○8> হইয়া বনগুগলত সমাদৃত প্রস্তর স্তুপে পরিণত হইয়াছে ; আর যে সকল বজ্ৰনিনাদ কামান দুর্গ প্রাকারোপরি সজ্জিত থাকিয়া শক্র হৃদয়ে ভীতি বিক্ষেপ করিত তাহা ইংরাজ রাজ ঐ স্থান হইতে অপসারিত করিয়াছেন। শিলাবতী নদীর পূর্ব পার্থে গড়বেতার সেই পরিখা বেষ্টিত দুর্গ প্রাকারের ধ্বংসাবশেষ দৃষ্ট হয়। দুর্গের চারিদিকে উত্তরে লালদরজা, পূৰ্ব্বে রাউতা দরজা, দক্ষিণে পেশী দরজা ও পশ্চিমে হকুমান দরজ নামে যে চারিট সুবৃহৎ সিংহদ্বার শোভা পাইত অদ্যাপি দু'এক স্থানে সে গুলির ভগ্নাবশেষ আছে । রায় কোট। দুর্গের উত্তর দ্বারের সম্মুখে জলচুঙ্গা, ইন্দ্র পুষ্করিণী, পাথুরিয়া, হাদুয়া, মঙ্গল, কবেশ দীঘি ও আম্র পুষ্করিণী নামে সাতটি পুরাতান পুষ্করিণী আছে। প্রত্যেক পুষ্করিণীর মধ্যস্থলে এক একটি প্রস্তর নিৰ্ম্মিত জীর্ণ মন্দির আছে। দুর্গের সান্নিধ্য হেতু অনেকে এই পুষ্করিণী ও মন্দির গুলিকে চৌহান বংশীয় রাজাদিগেরই কীৰ্ত্তি বলিয়া মনে করেন । পূৰ্ব্বোক্ত রায় কোটা দুর্গের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত মহাশক্তি সৰ্ব্বমঙ্গলা দেবীর প্রস্তর নিৰ্ম্মিত মন্দিরটি গড়বেতার অন্যতম প্রাচীন কীৰ্ত্তি । কিন্তু কতদিন হইল এবং কাহার দ্বারা যে উহ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল তাহা সঠিক বলা যায় না। কেহ কেহ বলেন, বগড়ীর প্রথম রাজা গজপতি সিংহ উহার প্রতিষ্ঠাতা ; আবার কেহ কেহ বলেন, উজ্জয়িনীপতি রাজা বিক্রমাদিত্য যখন মধ্যভারতেয় শাসন-দণ্ড পরিচালন করিতেন সেই সময় জনৈক সিদ্ধ পুরুষ বগড়ীর বনপ্রদেশে এই দেবী মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন । রাজা বিক্রমাদিত্য দেবীর অলৌকিক শক্তির বিষয় লোকমুখে অবগত হইয়া গরবেতায় সমাগত হন এবং দেবীর মন্দির গড় বেতার কয়েকট পুষ্করিণী। গড় বেতার সৰ্ব্বমঙ্গলা দেবী ।