পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woo o মেদিনীপুরের ইতিহাস । মধ্যে শব সাধনে নিরত হন। দেবী তাহার সাধনায় পরিতুষ্ট হইয়। র্তাহাকে তাল বেতাল নামক অলৌকিক তেজ সম্পন্ন দুই অনুচরের উপর আধিপত্যলাভের অধিকার প্রদান করেন । রাজা আপন সফলতা প্রত্যক্ষাভূত কারবার মানসে দেবীর অনুমতি ক্রমে তাল বেতালকে মন্দির-দ্বার পূর্ব দিক হইতে উত্তর দিকে পরিবর্তিত করিবার আদেশ করিবামাত্র উহ! পরিবর্তিত হইয়া যায়। জনশ্রুতি, সেই কারণে সৰ্ব্বমঙ্গল দেবীর মন্দিরের দ্বার উত্তর দিকে অবস্থিত ; সচরাচর কোন হিন্দু মন্দিরে এরূপ দেখা যায় না । উজ্জয়িনাপতি বিক্রমাদিত্য এ প্রদেশে আসিয়৷ শৰ সাধনা করিয়া গিয়াছিলেন বলিয়া কোন বিশ্বাস যোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই । দাতনের পূৰ্ব্বোক্ত রাজা বিক্রমকেশরী বা এ প্রদেশের বিক্ৰমাদিত্য নামে অন্য কোন রাজার সহিত এই কিম্বদন্তীর কোন সম্বন্ধ আছে কি না বলা যায় না। উজ্জয়িনীপতি বিক্রমাদিত্যের নাম ভারত বিখ্যাত এবং তাহার শব সাধনা ও তালবেতালের কাহিনা তাহার নামের সহিত বিশেষ ভাবে সংশ্লিষ্ট থাকায় উত্তরকালে এই সৰ্ব্বমঙ্গল দেবীর উত্তরমুখী দ্বারের কারণটাও তাহার ভালপেতালের সঙ্গে জুড়িয়া দেওয়া কিছু আশ্চর্য্য নর। সৰ্ব্বমঙ্গল দেবীর মন্দিরের গঠন প্রণালী অদ্ভূত ; দেখিলে আশ্চৰ্য্যান্বিত হইতে হয়। দ্বারযোগে মন্দিরের মধ্যে ত্রিশ হন্ত পরিমিত স্থান সুবিস্তীর্ণ সুড়ঙ্গ পথের গায় আলোক বিরহিত পথ অতিক্রম করিয়া গেলে মন্দিরের দক্ষিণ পার্শ্বে দেবীর তেজময়ী পাষাণমূৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। সে স্থলে দিবা দ্বিপ্রহরের সময়ও অন্ধকার । আলোকের সাহায্য ব্যতীত কিছুই দেখা যায় না। দেবীর পাশ্বে দিবারজনী একটি প্রদীপ জালিত হইয়া থাকে। দেবীর বামপাশ্বে