পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । - ○億S) জমিদার কলিকাতা বাগবাজার নিবাসী শ্ৰীযুক্ত ধনেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় প্রভূতির সম্পত্তি । পাশকুড়া থানায় কাশীজোড়ার প্রাচীন রাজবংশের গড়বাড়ী ছিল। তাহাদের কীৰ্ত্তি-চিহ্ন অদ্যাপি ঐ থানার নানা স্থানে দৃষ্ট হয়। শুর গ্রামের যাধিনী দীঘি-নামক পুষ্করিণী খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে রাজা যামিনীভাকু রায়ের সময় খোদিত হইয়াছিল। রাজা প্রতাপনারায়ণ রায় প্রতাপপুর সামক গ্রাম স্থাপন করেন এবং হরশঙ্কর-নামক গ্রামে বাজবাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া তথায় কৃষ্ণরায়জীউর মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। ঐ বংশের অন্যতম রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ রায় মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া চাচিয়াড় গ্রামের মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন। রাজা জিতনারায়ণ রায় চাচিয়াড় গ্রামের সঙ্গত ও ফকিরগঞ্জ গ্রামের জিত-সাগর জলাশয়ের প্রতিষ্ঠাতা। জয়পাটনা গ্রামের জয়চণ্ডী, প্রতাপপুরের অনন্ত বাসুদেব, দেড়চেকের গোবৰ্দ্ধনধারী, খসরবনের গোপাল জীউ এবং রঘুনাথ বাড়ীর রঘুনাথ জীউ এই রাজবংশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। সুথাস্থানে কাণীজোড় রাজবংশের বিবরণ লিপিবদ্ধ হইবে । এই জেলার পশ্চিম সীমান্তে বীণপুর থানায় কানাইসর নামে একটি পাহাড় আছে। এতদ অঞ্চলের পাহাড় কয়টির মধ্যে ইহাই সৰ্ব্বোচ্চ । প্রতি বৎসর আষাঢ় মাসে এই পাহাড়টার দুইবার পূজা হয়। তদুপলক্ষে বাঁকুড়া, মানভূম, সিংহভূম প্রভৃতি জেল হইতে লোক আসিয়া থাকে। গিরি-শৃঙ্গের দৃশু অতি মনোরম। সেখানে নানা প্রকার অদ্ভূত ও বিচিত্র পুষ্পোপ্তান দৃষ্ট হয়। তথায় প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড বৃক্ষও আছে । শিখর দেশ বিস্তৃত ; তন্মধ্যে মাত্র ছয় বিঘা ভুমি উদ্ভিদ বর্জিত সমতল ক্ষেত্র । অবশিষ্ট প্রায় পঞ্চাশ ঘাট ২৩ পাশকুড়া থানার কাশীজোড়া রাজ্য। কানাইসর পূ}হাড় ।