পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N) && মেদিনীপুরের ইতিহাস। ঝাড়গ্রাম থানার মধ্যে ঝাড়গ্রাম ও জামবনীর গড় দুইটিও প্রসিদ্ধ। পূৰ্ব্বকালে ঝাড়গ্রাম গড়ের চতুর্দিকেও সুদৃঢ় প্রস্তর-প্রাকার ও পরিখা ছিল। এই গড়ের মধ্যে ঝাড়গ্রাম রাজবংশের কুলদেবতা এবং রাজ্যের অধিষ্ঠাত্রী ভগবতী গায়ত্রী দেবীর একটি মন্দির আছে । মন্দিরটা একটি পুরাতন সরসী তটে সংস্থাপিত। উহার নিম্মাণ কৌশল ও অবস্থ৷ দেখিলে উহাকে একটি প্রাচীন কীৰ্ত্তি বলিয়াই অকুথিত হয়। জামবনী রাজবংশের গড়-বাড়ী সাধারণতঃ ‘চিন্ধী গড়’ নামে পরিচিত । ঝাড়গ্রাম গড়ের দুই মাইল অস্তরে রাধানগর গ্রামে ঝাড়গ্রামের অন্যতম রাজা বিক্রমজিৎ মল্ল উগালষণ্ড দেব বাহাদুরের নিৰ্ম্মিত মেলা বাধ’ ও ‘কেরেলার বাধ’ নামে দুইটি বৃহৎ জলাশয় আছে । নিদারুণ নিদাঘকালে যখন এই প্রদেশের চারিদিকেই ভীষণ জলকষ্ট হয় তখনও এই দুইটি জলাশয়ে অগাধ জল থাকায় এই প্রদেশের অধিকাংশ লোকেই এই জল পান করিয়া জীবন রক্ষা করে । ঝাড়গ্রাম গড় হইতে প্রায় তের মাইল দূরে চন্দ্রী নামে একটি বৃহৎ গ্রাম আছে। এই গ্রামে একটি প্রাচীন মন্দিরে চন্দ্রশেখর নামে এক অনাদি লিঙ্গ মহাদেব আছেন । এই মহাদেবের প্রকাশ সম্বন্ধেও এ প্রদেশে নানাপ্রকার অলৌকিক কাহিনী প্রচলিত আছে। চন্দ্রশেখর মহাদেবের নাম হইতেই গ্রামটার নাম চন্দ্রী হইয়াছে। ঝাড়গ্রামের রাজগণ দেবসেবার জন্য অনেক ভূসম্পত্তি দান করিয়া গিয়াছেন এবং সমস্ত গ্রামখানি গ্রামবাসীদিগকে নিস্কর ভোগ করিতে দিয়া ঝাড়গ্রাম ও জামবনী গড় । মেলা বাধ ও কেল্পেনার বাধ । চন্দ্রী গ্রামের চন্দ্রশেখর মহাদেব |