পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । ‘AN এইখানেই তাহাকে রাখিয়া গিয়াছিলেন ; লব কুশের জন্ম এই স্থানেই হইয়াছিল। বলা বাহুল্য রামায়ণ বর্ণিত মহর্ষি বাল্মীকির তপোবনের সহিত এই তপোবনের কোন সম্বন্ধ নাই। তবে স্থানটীর প্রাকৃতিক দৃপ্ত ষে অতি মনোরম এবং উহা তপোবনেরই উপযুক্ত সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। ঐ স্থানে অরণ্য মধ্যে প্রাচীন কালের তপস্বিগণের তপোকুষ্ঠানের পরিচয়ও পাওয়া যায়। প্রাচীন লোকের মুখে শ্রত হওয়া যায় যে, প্রায় পঞ্চাশ, ষাট বৎসর পূর্বেও তাহারা ঐ অরণ্য মধ্যে দুই চারজন সাধু সন্ন্যাসীকে নির্জনে সাধনা করিতে দেখিয়াছেন। অরণ্যজাত ফল, মূল ও নির্বারণীর জল পান করিয়াই তাহারা ক্ষুধা তৃষ্ণ নিবারণ করিতেন। লোকালয়ের সঙ্গে তাহদের একপ্রকার কোন সম্বন্ধই ছিল না। নয়াগ্রামের খেলাড় গড়টি নয়াগ্রাম রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ কর্তৃক অনুমান পঞ্চদশ শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। প্রগুর-নিৰ্ম্মিত সুবৃহৎ রাজবাটীকে কেন্দ্র করিয়া গড়টর চতুর্দিকে সুউচ্চ প্রাচীর ও সুগভীর পরিখা ছিল । এক্ষণে সেই রাজবাটা প্রস্তর-স্তুপে পরিণত হইয়াছে, গড়খাই ভরিয়া গিয়াছে, কেবল প্রস্তর প্রাচীরের কিয়দংশ ও তোরণ দ্বারটি প্রাচীন কীৰ্ত্তির সাক্ষ্য দিতে দাড়াইয়া আছে। এই গড়ের অভ্যন্তরে নীল প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত একটি অশ্বপৃষ্ঠে একত্রোপবিষ্ট স্ত্রী ও পুরুষ মুক্তি আছে। সচরাচর এরূপ অশ্বারূঢ় যুগলমূৰ্ত্তি দেখা যায় না। প্রত্নতত্ববিদূগণের মধ্যে কেহ কেহ উহাকে পারসীক বা শক প্রতিমূৰ্ত্তি বলিয়৷ মনে করেন। তাহারা বলেন, ইহার গঠন প্রণালী অনেকাংশে আরবের প্রাচীন বিধ্বস্ত নিনিত নগরীর স্তুপ-গর্ভে প্রাপ্ত মূৰ্ত্তির অনুরূপ আমরা কিন্তু উহাকে আমাদের এই ভারতবর্ষেরই সম্পত্তি—আমাদেরই খেলাড় গড় ।