পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిa মেদিনীপুরের ইতিহাস । কামদেব ও রতিদেবীর মূৰ্ত্তি বলিয়া মনে করি । পুরুষ মূৰ্ত্তিটার হস্তস্থিত তীর ধনুক কামদেবের ফুলশরের কথাই স্মরণ করিয়া দেয় । মানভূম জেলার অনেক মন্দিরের সম্মুখেও এরূপ মূৰ্ত্তি দেখা যায়। এ সকল মূৰ্ত্তি খুব বেশী প্রাচীন কালের নয়। নয়াগ্রাম পরগণায় চন্দ্ররেখা গড় নামে আর একটি গড়ের ধ্বংসাবশেষ আছে । মেদিনীপুর জেলায় যতগুলি প্রাচীন গড়ের চিহ্ন আছে তন্মধ্যে এইটা সৰ্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ ও সুরক্ষিত ছিল বলিয়া বোধ হয়। গড়টার দৈর্ঘ্য প্রস্থের ভূমি পরিমাণ ১০৫০ x ৭৮০ গজ । ইহার বাহিরে যে পরিখাট ছিল তাহার দৈর্ঘ্য প্রত্যেক দিকে প্রায় এক মাইল । সুবিস্তীর্ণ কঙ্করময় কঠিন ভূমির উপর এই গড়ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার, কুড়ি পঁচিশ ফিট প্রস্থ এবং বার তের ফিট গভীর ঐ পরিখাট খনন করিতে অনেক পরিশ্রম ও অর্থব্যয় হইয়। থাকিবে। পরিখাটীর ভিতর পাশ্ব হইতেই গড়ের চতুর্দিকে পনর ফিট উচ্চ একটি প্রস্তর-প্রাচীর ছিল। তৎপরে আর একটি ক্ষুদ্র পরিখা পরিবেষ্টিত হইয়া রাজপ্রাসাদ অবস্থিত ছিল । সাড়ে পাচ ফিট দীর্ঘ দুই ফিট প্রস্থ এবং দেড় ফিট উচ্চ প্রস্তর খণ্ডের দ্বারা এই সকল গৃহ ও প্রাচীরগুলি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । গড়টার চারিদিক এক্ষণে জঙ্গলে পূর্ণ হইয়া গিয়াছে। প্রাচীর ও অট্টালিকাগুলি ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে । পরিখাতে এখন আর জল নাই - অধিকাংশ স্থান ভরিয়া গিয়াছে। পখিার বাহিরে এক স্থানে ‘গড় দুয়ার’-নামক একটি ক্ষুদ্র পল্লী আছে, সেখানে কতকগুলি সাওতাল বাস করিতেছে। জনশ্রুতি, ঐস্থানেই চন্দ্ররেখা গড়ের প্রধান প্রবেশ-দ্বার ছিল। খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে নয়াগ্রামের রাজা চন্দ্রকেতু সিংহ ( কেহ কেহ বলেন চন্দ্রশেখর সিংহ) কর্তৃক এই গড়ট প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। এক্ষণে উহা ও চন্দ্ররেখা গড় ।