পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৩৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । vుUNలి সিড়ীর দুই পার্থে দুইটি নয় ফিট উচ্চ প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত সিংহ আছে। সিড়ীতে উঠিলেই প্রথমে বারদুয়ারী-নামক বারটা খিলানযুক্ত নাট্য মন্দিরে প্রবেশ করিতে হয়। উহার সম্মুখের দেওয়ালে উড়িয়া ভাষায় লিখিত য়ে প্রস্তর ফলকখানি আছে তাহা পাঠে জানা যায় যে, শাহ সুলতান নামক জনৈক ব্যক্তি মহারাজা মানসিংহ কর্তৃক নিযুক্ত হইয়া যখন কেশিয়াড়ীর রাজস্ব কেন্দ্রের শাসন দণ্ড পরিচালনা করিতেছিলেন, সেই সময় তাহারই অধীনস্থ সুন্দর দাস নামক জনৈক কৰ্ম্মচারী ও অৰ্জুন মহাপাত্র নামক দেওয়ান বা সেরেস্তাদায়ের তত্ত্বাবধানে বনমালী দাস নামক স্থানীয় রাজমিস্ত্রী উহা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল । উক্ত শিলালিপিটি ১৫৩২ শকাদীয় বা ১৬১০ খৃষ্টাব্দে উৎকীর্ণ। বারদুয়ারীর মধ্য দিয়া জগমোহনে প্রবেশ করিতে হয়। এই জগমোহন মন্দিরে দেবীর সমস্ত বাহ পূজার কার্য্য অর্থাৎ দুর্গোৎসব, কালীপূজা ও অন্যান্স পর্বোপলক্ষে নৈমিত্তিক পূজা, চণ্ডীপাঠ ও হোমাfদর কার্য্য সম্পন্ন হয় । এইখানে কৃষ্ণ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত একটি প্রকাণ্ড গণেশ, একটি দ্বিভূজ ত্রিশূল খড়গধারী মহাকাল এবং চতুভূজ ত্রিশূলধারিণী অমুরনাশিনী একটি কালভৈরবী মূৰ্ত্তি বিদ্যমান। উড়িয়ায় প্রায় সকল প্রাচীন মন্দিরেই এইরূপ এক একটি জগমোহন দেউল মূল দেউলের সংলগ্ন আছে দেখা যায়। এই জগমোহন দেউলগুলি দেবতার শ্ৰীমন্দির অপেক্ষা অধিক কারুকার্য্য সম্পন্ন ও মনোমুগ্ধকারী। ঐগুলি দেখিবামাত্রই দর্শকের মন বিমোহিত হয় বলিয়াই বোধ হয় উহাদের জগমোহন নাম হইয়াছে। জগমোহন হইতে দেবী মন্দিরে প্রবেশ করিতে হয়। মন্দিরের মধ্যস্থলে সুউচ্চ বেদীর উপর প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত প্রৌঢ় বয়স্ক, সিন্দুর-লিপ্ত বদন দ্বিভূজা সৰ্ব্বমঙ্গলা মূৰ্ত্তি। দেবীর দক্ষিণ পদ বেদীর নিয়ে সিংহের