পাতা:মেদিনীপুরের ইতিহাস প্রথম ভাগ.djvu/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন কীৰ্ত্তি ও কাহিনী । Vట్రఫి হওয়ায় যে স্থানে তাহার বাস করিতেন উহা মোগল পাড়া নামে অভিহিত হয় এবং অদ্যাবধি ঐ স্থান সেই নামেই o ੋ। পরিচিত হইয়া আসিতেছে। তাহাদের নিৰ্ম্মিত মসজিদ ও গৃহাদির ধ্বংসাবশেষ এখনও দৃষ্ট হয়। তন্মধ্যে একটি জীর্ণ মসজিদে আরবী তাষায় লিখিত বে প্রস্তর ফলক খানি আছে উহা হইতে জানা যায় যে, সম্রাট ঔরঙ্গজেবেয় সময়ে ঐ মসজিদটী নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ঐ সকল ধ্বংসাবশেষের মধ্যে একটি প্রস্তর মূৰ্ত্তি পড়িয়া আছে। উহার আকৃতি ও পরিচ্ছদাদি দেখিলে উহা কোন সন্ত্রান্ত মুসলমানের প্রতিমূৰ্ত্তি বলিয়া মনে হয়। তলকেশিয়াড়ী গ্রামেও একটি মসজিদৃ আছে। উহা বাদশাহ সাহ আলমের সময়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । মসজিদূটর গঠন প্রণালী সুন্দর, নানা প্রকার কারু কাৰ্য্য শোভিত। সংস্কারাভাবে উহা এক্ষণে জীর্ণাবস্থা প্রাপ্ত হইলেও স্থানীয় মুসলমানগণ এখনও সেই স্থানেই উপাসনাদি করিয়া থাকেন। কেশিয়াড়ী, কাঞ্চনপুর, গগনেশ্বর প্রভৃতি স্থানের মধ্যে ‘মুকুন্দ দেব", ‘বিদ্যাধর’, ‘পাত্রমা’, ‘দাড় পত্রিমা’, ‘নায়কা’ প্রভৃতি নামে কয়েকটা প্রাচীন পুষ্করিণী আছে। মুকুন্দদেব পুষ্করিণীর তটভূমি অতি উচ্চ এবং স্বয় প্রাচীরে পরিষ্ট্ৰেত ছিল । উহার চারিধার উত্তমরূপে গাথিয় প্রাচীরাদির দ্বারা সুরক্ষিত করা হইয়াছিল। কর্তিত প্রস্তরের আগাগোড়া গাথনীর ও মুগঠিত সোপানাবলীর ভগ্নাবশেষ অস্থাপি দৃষ্ট হয়। জলশয়ের মধ্যস্থলে একটি ক্ষুত্র ভগ্ন মশ্বির কালের কঠোর নির্য্যাতন সহ করিয়া এখনও দণ্ডায়মান আছে । - কেশিয়াড়ীর পূর্বদিকে ও গগনেশ্বরের উত্তরে বিদ্যাধর নামে ষে 8